আদালতে ১৪৪ ধারা মামলা চলমান এবং স্টে আদেশ আমান্য করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অনুমতি দিয়েছের বলে অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসারের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
জানাগেছে, সদর উপজেলার মহেন্দনগর ইউনিয়নের ভোলারচওড়া ধনঞ্জয় গ্রামে নিজ নামীয় পৈতৃক সম্পত্তি যা দলিল ও এস,এ ৬২ রেকর্ডীয় মূলে যার দাগ নং ২১৬। সেখানে মোট জমির পরিমাণ ৮৯ শতাংশের মধ্যে ২৪ শতাংশ জমি ভুলবশত ৯০ রেকর্ডে জমির পাশে অবস্থিত মৃত্তিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে রেকর্ড হয়। সম্প্রতি এ খবর জানতে পেরে ওয়ারিশদের পক্ষে আলতাফ হোসেন বসুনিয়া বাদী হয়ে গত ১৮ জুন আদালতে ১৪৪ ধারা মামলা করেন। এছাড়া ওই ১৮জুন সত্ব প্রচারের আরো একটি মামলাও করেন তিনি। এদিকে মামলার প্রেক্ষিত আদালত ২৩ জুন ওই জমির উপর স্টে অর্ডার (নিষেধাজ্ঞা) জারি করেন। কিন্তু আদালতের ওই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ৫ জুলাই বিদ্যালের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার জান্নাতআরা ফেরদৌস উপস্থিত থেকে ঠিকাদার কর্তৃক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া কেউ কাজে বাধা দিলে গ্রেফতার করা হবে বলে জনসম্মুখে ঘোষণা দেন বলেও অভিযোগ উঠেছে ইউএনও'র বিরুদ্ধে।
এব্যাপারে, সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার জান্নাতআরা ফেরদৌস বলেন, 'আদালতের কোন স্ট্রে অর্ডার আমি পাইনি'। ওই জমির ৯০ সালের রেকর্ড' স্কুলের নামে হয়েছে। তাই বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। আদালতের কোন নির্দেশনা পেলে কাজ বন্ধ করা হবে বলেও তিনি জানান।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।