বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোজখালী বাজারে নির্মিত নৌকার তোড়ন ভেংগে ফেলা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগকে গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় নুরদ্দীন সিকদার নামের এক নৌকার কর্মী ও তার স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করে বসতঘর তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়াগেছে গোছখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মামুন সিকদারের বিরুদ্ধে।অভিযুক্ত মামুন সিকদারের বিচারের দাবীতে শনিবার দুপুরে বাজারে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময়ে উপজলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোজখালী বাজারে নৌকা মার্কার তোড়ন নির্মাণ করা হয়। গতকাল রাত ৯টায় গোজখালী বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মামুন সিকদার তোড়নটি ভেংগে ফেলে। বিষয়টি জানার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী নুরুদ্দীন প্রতিবাদ করলে নুরুদ্দীন ও তার স্ত্রী সাবিনাকে বেধড়ক মারধর করে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগকে গালাগালি করে নুরুদ্দীন এর বসত ঘর তালাবদ্ধ করে দেয় মামুন সিকদার। পরে বিষয়টি সকলের মাঝে জানাজানি হলে অভিযুক্ত মামুন সিকদারের বিচারের দাবীতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন করেন। নুরুদ্দিন সিকদার বলেন, আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করছে আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মামুন সিকদার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বিকার করেন।
এ ব্যাপারে গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাড: এইচ এম মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত মামুন সিকদার এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। মামুন সিকদার বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন কর্মসূচি পালন করার সময়ে গোজখালী বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পেট্রোল বোমা হামলা চালায়। তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুর বলেন, এ ব্যপারে কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।