বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর বাজারের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার চন্দ্রিমা মন্ডল তার নিজ কর্মস্থলে না থেকেই বছরের পর বছর বেতন নিচ্ছে।
এতে করে ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চন্দ্রিমা মন্ডলের খুঁটির জোর কোথায়,কার ইশারায় প্রায় দু বছর নিজ কর্মস্থলে না গিয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকেই যাচ্ছে তা কারোই বোধগম্য হচ্ছে না, কারো কথাই চন্দ্রিমা মন্ডলের কর্নপাত হচ্ছে না।
আমতলীর আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের দাবী নিয়মিত একজন উপ সহকারী মেডিকেল অফিসার এই কেন্দ্রের জন্য নির্ধারিত থাকা সত্বেও চন্দ্রিমা মন্ডল কোন সময় তার স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে আসছে না। মাঝেমধ্যে এসে কিছু ঔষধপত্র ফেলে দিচ্ছি, কোন মানুষকে ঔষধ দেয় না। ঔষধ ফেলে দেওয়ার বিষয়টি চন্দ্রিমা মন্ডলের কাছে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে ডেট ওভার ঔষধ ফেলে দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন যাবত অবহেলায় অযত্নে নোংরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল মুনয়েম সাদ বলেন, চন্দ্রিমা মন্ডল কে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নে দেওয়া হয়েছে বারবার তাগাদা থাকা সত্ত্বেও কোন কথার গুরুত্ব দিচ্ছে না চন্দ্রিমা মন্ডল। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র টি একটু নাজুক হলেও সে ওখানে না থাকতে পারলেও সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে চলে আসতে বলা হয়েছে, কিন্তু সে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রটিতে একে বারেই যেতে চাচ্ছেনা, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে। বাজার কমিটির সাথে কথা বলে একটি স্থান দেওয়া হয়েছে তারপরও সে কর্ণপাত করছে না।
এলাকার স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত ভুক্তভোগী দের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে চন্দ্রিমা মন্ডল মাসের মধ্যে একবার এক ঘন্টার জন্য এসেই আগের উষধগুলো ফেলে দেয় কিছু ঔষধ নিয়ে যায়, এবং সেই ঔষধ কি করে তা আমরা বুঝতে পারছি না। সোহেল রানা স্থানীয় যুবলীগ নেতা বলেন, এই স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের নাম করে মোট তিনজন বেতন নিচ্ছে কিন্তু কোন ডাক্তার এখানে আসে না। বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও চন্দ্রিমা মন্ডল আসছে না এতে আমাদের এলাকার স্বাস্থ্যসেবা থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে, আমরা এর সমাধান চাই।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ বাতেন বলেন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটি দীর্ঘ বছর বন্ধ রয়েছে কোনো সেবা দেয়া হচ্ছেনা ঔষধ গুলো কে নিচ্ছে কোথায় যাচ্ছে আমরা জানি না। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার যদি আসতো আমরা তার বসার ব্যবস্থা অবশ্যই করতাম কিন্তু সে একেবারেই আসে না।