শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জে বিশ্ব বসতি দিবস  উদযাপন উপলক্ষ্যে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  কালিয়াহরিপুর  ইউনিয়নের  ভাতাভাোগীদের “লাইভ ভেরিফিকেশন ও মূল্যায়ন সভা অনুষ্ঠিত  সিরাজগঞ্জে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্য আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  দুই দফা আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য কালীগঞ্জে ওয়াকফ এষ্টেটের ৩৩.৩৮ একর সম্পত্তি বেদখল বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেলেন নুরুল ইসলাম খান গাজীপুরে মাদক ব্যবসায়ী ল্যাংড়া ফারুকসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব বারিতে নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ বারি’তে পার্টনার প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জে ৩৩ তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে র‍্যালি প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  গোমস্তাপুরের মহানন্দা নদীতে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার গোমস্তাপুরে ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত চাটমোহরে ৩৩ তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উদযাপিত বরগুনা জেলা পর্যায় শ্রেষ্ঠ রোভার স্কাউট নির্বাচিত হওয়ায় খাইরুল ইসলাম মুন্নাকে কলেজ থেকে সংবর্ধনা কুড়িগ্রামে উদ্দীপনের আয়োজনে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত কিস্তির টেহা দিতো পারছেনা দেইখা ভাইরে জবো কইরা লাইছে সিরাজগঞ্জে দৈনিক ডেল্টা টাইমস্ এর ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র‍্যাব-১ এর বিশেষ রোবাস্ট প্যাট্রল ও চেকপোস্ট মোতায়েন গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে অটো-চালককে গলাকেটে হত্যা  নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া কথা রাখলেন সেলিম কাউন্সিলর গাজীপুরে ২১ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-১

আরও আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

কলমের বার্তা / ১১৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

বাংলাদেশের শহর এলাকায় করোনা মহামারি সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে ৪ কোটি নগরবাসীর জন্য এই ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এটি ভবিষ্যৎ ধাক্কা মোকাবিলায় প্রস্তুতি জোরদার করে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে উঠতে বাংলাদেশকে জরুরি ভিত্তিতে আরও ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা) টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে শুক্রবার বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে সংস্থাটির বোর্ড সভায় এই ঋণ সহয়তা অনুমোদন দেয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ‘লোকাল গভর্নমেন্ট কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্ট’ (এলজিসিআরআরপি) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই ঋণ দেবে সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের শহর এলাকায় করোনা মহামারি সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে ৪ কোটি নগরবাসীর জন্য এই ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এটি ভবিষ্যৎ ধাক্কা মোকাবিলায় প্রস্তুতি জোরদার করে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, মহামারির ধাক্কা সামলে উঠতে শহুরে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করবে এই অর্থ। ৩২৯টি পৌরসভা এবং ১০টি সিটি করপোরেশনের সুবিধা বাড়বে। অবকাঠামো, স্থানীয় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, জলবায়ু প্রভাব, দুর্যোগ এবং ভবিষ্যতে রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্তির জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে এই অর্থে। প্রকল্পটি দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়তা করবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৫ লাখ দিনের কাজের সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি ১০ হাজার নারীর কর্মসংস্থান তৈরি করবে। সেই সঙ্গে প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে প্রকল্পটি।

জরুরি পরিস্থিতিতে আরও ভালো সমন্বয় ও তথ্য বিনিময়ের জন্য একটি ওয়েবভিত্তিক প্ল্যাটফর্মও স্থাপন করা হবে এই প্রকল্পের আওতায়। আটটি বিভাগে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি শহুরে এলাকার দরিদ্র জনগণকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছে। কোভিড আয়ের ক্ষতি করেছে এবং মৌলিক পরিষেবা সরবরাহ ব্যাহত করেছে। তবে সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাগুলো মহামারি থেকে নগরের দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি শহরগুলোকে ভবিষ্যতের ধাক্কা সামলানোর জন্য প্রস্তুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সে কারণেই এই সহায়তা।’

বিশ্বব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের নগরাঞ্চল দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বৃহৎ ও ক্রমবর্ধমানশীল অংশের প্রতিনিধিত্ব করে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উল্লেখযোগ্য অংশ নগরাঞ্চলে পরিচালিত হলেও কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বাংলাদেশের নগরবাসীর স্বাস্থ্য সমস্যা, বিভিন্ন সেবার ঘাটতি তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও অর্থনৈতিক প্রভাব নিরসনে সরকার মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। তবে এই দায়িত্বের একটি বড় অংশ নগরকেন্দ্রিক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর (ইউএলজিআই) উপর বর্তায়, যারা মহামারির প্রত্যক্ষ প্রভাব মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো নাগরিক সেবা ও অত্যাবশ্যকীয় অবকাঠামোগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান আছে। তবে তাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও দক্ষতার অভাব রয়েছে। বর্তমানে নগরকেন্দ্রিক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল টেকনোলজি, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, ড্রেন নির্মাণ, সড়ক নির্মাণ এবং সড়কবাতি স্থাপনসহ অত্যাবশ্যকীয় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য যে বরাদ্দ পায় তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এই খাতগুলোর কাজ পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন।

এ ছাড়াও করোনা টিকা নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিবন্ধন ও এ সংক্রান্ত বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সহায়তা করবে এই প্রকল্প। এর আগেও করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ও টিকা কিনতে বাংলাদেশকে ঋণ সহয়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

45
Spread the love


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর