টঙ্গীতে তাবলীগ জামাতের সাদ ও জুবায়েরপন্থী অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মিজানুর রহমান (৪২) নামে এক মুসল্লি মৃত্যুবরণ করেছেন। সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মিজানুর রহমান কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ছবির উদ্দীন প্রামানিকের ছেলে। তিনি তাবলীগ জামাতের সাদপন্থীদের একজন সক্রিয় সদস্য এবং ফুলবাড়ি থানার জিম্মাদার সাথী বলে দাবি করেছেন সাদপন্থীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম।
জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সাদপন্থীদের পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় মিজানুর রহমান গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১ মাস ১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে একই সংঘর্ষে মো. বেলালসহ আরও দুজন নিহত হন। মিজানুর রহমানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ওই সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল চারজনে।
এ ঘটনায় তাবলীগ জামাতের সাদপন্থী অনুসারীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
সাদপন্থীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম এক বার্তায় বলেছেন,আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। টঙ্গীর সংঘর্ষের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছি। তবে দুঃখজনক বিষয় হলো, প্রশাসন এ পর্যন্ত সাদপন্থীদের কোনো মামলা গ্রহণ করেনি। বরং উল্টো জুবায়েরপন্থীরা সাদপন্থীদের শীর্ষ মুরুব্বিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
তিনি আরও বলেন,তাবলীগ জামাতের সংঘর্ষে নিহতদের জন্য সুবিচার পেতে আমরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি। সংঘর্ষে জড়িত ও উসকানিদাতাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাই।"
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, মিজানুর রহমানের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।