দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ, আগামী ১০ শে জুলাই দেশে ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে পাবনার বেড়া উপজেলার প্রায় সব খানেই মানুষের মধ্যে ঈদের কেনা-কাটা, উৎসাহ উদ্দিপনা দেখা গেলেও ঈদের আনন্দ নেই উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চরনাগদাহ গ্রামের নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে।
চরনাগদাহ গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদ মোল্লা, ইসমাইল মাষ্টার, ওমর আলী, রহমান সহ অনেক স্থানীয়রা জানিয়েছেন সাম্প্রতিক বন্যার পানিতে চরাঞ্চলের বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হওয়া সহ যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে গততিন মাসে চরনাগদগাহ গ্রামে প্রায় ৩ শ’ বসতবাড়ি সহ কম পক্ষে ৭ শ’ বিঘা ফসলি ও আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
রাজ্জাক মোল্লা, মোন্নাফ মোল্লা, ইউনূস সরকার, মজনু মোল্লা সহ অসংখ্য কৃষকের বসতবাড়ি জমি-জমা সাজানো স্বপ্ন কোড়ে নিয়েছে যমুনা নদী। এ কারণে ভাঙন পরিবারের মানুষের চোখে-মুখে বেদনা-বিষাদের ছাপ লেগে আছে। ঈদের আনন্দের পরিবর্তে সামনের দিনগুলোতে কী খেয়ে বাঁচতে, কোথায় থাকবে, কীভাবে জীবিকা-নির্বাহ করবে, এসব দুঃচিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভাঙন এলাকার এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।
নদী ভাঙন বিষয়ে হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সরকার বলেন, সাম্প্রতিক নদী ভাঙনে তার ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড চর নাগদাহ গ্রামে ব্যপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। যমুনার ভাঙনে এ গ্রামের কয়েক শ’ বসত বাড়ি সহ বিভিন্ন ফসলি আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় অনেক কৃষক পরিবার প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। সরকারী ভাবে এ পর্যন্ত তিন দফায় এই এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ২১ মে.টন চাল, নগত দেড় লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।