আসন্ন ঈদুল আজহার (কোরবানির ঈদ) ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ঈদের সময় সড়কে চাপ ও ভোগান্তি কমাতে এই সুপারিশ করা হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, এখন মন্ত্রিসভা এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মোজাম্মেল হক বলেন, ঈদের সময় মানুষ যাতে সহজে গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেন সেই জন্য আমরা ২৭ জুন থেকে ছুটির সুপারিশ করেছি। গত ঈদে আলহামদুলিল্লাহ ভ্রমণটা যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্য ছিল। অন্যান্য বছরের মতো এত ভোগান্তি হয়নি। এই বছরও যাতে তেমন হয়, সেজন্য অনেকে মতপ্রকাশ করেছেন ঈদের ছুটি ২৮ জুন থেকে হবে, যদি ২৭ তারিখ থেকে ছুটি দেওয়া যায়, সেটা কেবিনেট করতে পারে। আমরা কেবিনেটের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। যদি কেবিনেট ২৭ তারিখ থেকে ছুটি অনুমোদন করে তাহলে মানুষের যাওয়া-আসার সময় চাপ কম পড়বে। একটু নিরাপদে যেতে পারবে।

তিনি বলেন, আমরা সুপারিশ করব, এটা যদি সরকার বিচার-বিবেচনা করে দুই-একদিন যদি বাড়িয়ে দেওয়া যায়। তাহলে হয়তো যাতায়াতে চাপটা একটু কম পড়বে।

মন্ত্রী বলেন, কোরবানির পশুর হাট রাস্তার ওপর বসাতে এবার কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। প্রশাসনকে বলা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন যেন অত্যন্ত সচেতন থাকে, কোনো অবস্থাতেই গরুর হাট, কোরবানির হাট রাস্তার ওপর বসার অনুমতি তো দেবেই না, বসতে যাতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেতন থাকবে। ঢাকা শহরে গরুর হাট করার মতো খালি জায়গা নেই। তাই এখানকার জায়গাটা একটু ভিন্ন। তবে সেটাও আমরা ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ করেছি, কোথায় কোথায় সিটি করপোরেশন (হাটের অনুমতি) দিয়েছে, সেখানে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা রেখেই যেন সেগুলো হয়।