সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় খিরার ফলনের সঙ্গে দামও ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
এ অঞ্চলের উৎপাদিত খিরা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে আড়ত থেকে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক খিরা ঢাকা,চট্টগ্রাম,বগুড়া,সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। এদিকে খিরার দাম ভাল পাওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। ফলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,সলঙ্গায় ৬টি ইউনিয়নে খিরার চাষাবাদ দ্বিগুন হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় মৌসুমি খিরার হাট বসেছে এলাকার বিভিন্ন স্থানে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সলঙ্গা থানার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা মাঠের পর মাঠ খিরার চাষা-আবাদ করছে। কিছু কৃষক লাভের আশায় নিজের জমি না থাকায় অন্যর জমি বর্গা নিয়ে খিরার আবাদ করছেন। কৃষকদের আশা আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে লাভোবান হবেন।
উপজেলার কৃষক আলামিন ও রায়হান বলেন, ধান চাষের পাশাপাশি এ বছর দুই বিঘা জমিতে খিরা চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে ৮-১০হাজার টাকা খরচ হয়। একবিঘা জমি থেকে খিরা বিক্রি করা যায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। বর্তমান বাজারে প্রতি বস্তা খিরা ৭শত টাকা থেকে ৮ শত টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। বাজার দর এ রকম থাকলে সব খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি জমিতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ হবে। উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের পরামর্শে,এই এলাকার কৃষকরা ধান চাষে পাশাপাশি খিরা চাষে ঝুঁকছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি জানান, খিরা চাষে সল্প খরচে দ্বিগুন লাভ। তাই আমরা কৃষি অফিস থেকে খিরা চাষীদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়ার কারণে এসব এলাকায় দিন দিন খিরা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। এ বছরে উপজেলায় ২৪২ হেক্টর জমিতে খিরার আবাদ করা হয়েছে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।