আধুনিক কৃষি পদ্ধতিতে ট্রেতে ধানের চারা উৎপাদন এবং যন্ত্রের সাহায্যে জমিতে চারা রোপণ ও কাঁটা এতেই ধান উৎপাদনে কৃষকের বিঘাপ্রতি ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ কমতে পারে। প্রান্তিক পর্যায়ে এ সুবিধা প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার গান্ধাইল গ্ৰামে উপজেলা কৃষি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ৫০ একর জমিতে আধুনিক সমলয় ও যান্ত্রিক কৃষির ব্লক প্রদর্শনী করছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম
প্রধান অতিথি হিসেবে সমলয় ধান চাষ শুভ উদ্বোধন করেন। খাদ্য উপাদানে স্বয়ংসম্পূর্ণ কাজিপুরে উৎপাদন ব্যায় কমাতে সরকার বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করছে, এবং কৃষি শ্রমিকের সংকট উল্লেখ করে যন্ত্র ব্যবহারে আগ্রহ বাড়াতে আলোকপাত করেন এবং উদপাদ ব্যয় কমাতে যন্ত্রের বিকল্প নেই উল্লেখ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আ: জ: মু: আহসান শহীদ সরকার স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হযরত আলী ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
আধুনিক ও যান্ত্রিক কৃষি সুবিধা সম্প্রসারণ লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার গান্ধাইলে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি মৌসুমে ব্লক প্রদর্শনী স্থাপনের জন্য উফশী জাতের (ব্রিধান-৯২) বোরো ধানের সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ উদ্ভোধন করেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ গান্ধাইল গ্ৰামে ৪৫০০ ট্রেতে ৬০০ কেজি ধান বীজ বপন করে এবং উৎপাদিত চারা ৫০ একর জমিতে চারা রোপন যন্ত্রের সাহায্যে রোপন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে যন্ত্রের সাহায্যে ধান কাটা হবে। এতে করে বিঘাপ্রতি ধান উৎপাদন ব্যয় ৬০০০ হাজার টাকা কমবে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।