সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে এলজিইডি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ৩ টি প্রকল্পে নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলীর অনিয়ম উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান। প্রকল্প ৩ টি তার এলাকায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর আগে এলজিইডির একাধিক প্রকল্পে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠলেও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণ না করায় অনিয়ম বেড়েই চলেছে ধারণা সচেতন মহলের, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের বিপরীতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের।

মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রাজমহর কর্তৃক গত ১১ মার্চ দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শালদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণ, শালগ্ৰাম- ঘোড়ামারা পাকা সড়ক নির্মাণ এবং উত্তর ছালাল - চর শালদহ বউ বাজার পাকা রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে মাটি যুক্ত বালি, ৩ নম্বর ইট, নিম্নমানের রড ও বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে, এছাড়াও রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ থাকলেও নিয়ম মেনে তা করা হয়নি, এবং সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল হাসান সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন না, এছাড়াও
বিষয়টি উপজেলা পরিষদের একাধিক সমন্বয় সভায় উল্লেখ করা হলেও প্রতিকার মেলেনি উল্লেখ রয়েছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে এলজিইডি কাজিপুর কার্যালয়ের
উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল হাসান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান এর আগেও বিভিন্নভাবে উর্ধ্বতন মহলে অভিযোগ তোলেন। সঠিকভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, এলজিইডি সিরাজগঞ্জ কর্তৃক গঠিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন, প্রতিবেদনে সব ঠিক আছে, এছাড়াও নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। রাস্তার কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তানজিলা এন্টারপ্রাইজ থেকে সাবলিজে দায়িত্ব নেয়া আশরাফুল মেম্বার বলেন, অভিযোগকারী আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, প্রতিহিংসা বশত অভিযোগ দায়ের করতে পারে, সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীগণ কাজের মান ঠিক রাখতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে আসছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন, বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সচেতন শিক্ষক রোকনুজ্জামান বলেন, এলজিইডির বাস্তবায়নাধীন একাধিক রাস্তার কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সময়, অভিযোগের দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় অনিয়ম বেড়েই চলেছে।

বিদ্যালয়ে কয়েক শত শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্ৰহণের উদ্দেশ্যে আসে, বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ নিম্নমানের হলে, শিক্ষক শিক্ষার্থী ঝুঁকির মধ্যে পড়ে, বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে প্রাণহানির সম্ভাবনা থাকে। উল্লেখ্য, কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলের উত্তর সীমানায় মনসুরনগর ইউনিয়নের ভৌগলিক অবস্থান। চরাঞ্চলকে উন্নয়নের মূল ধারার সংযুক্ত করতে পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে চরাঞ্চলে কাঁচা-পাকা রাস্তা নির্মাণ, সেতু নির্মাণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও বহুতল ভবন নির্মাণ, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে, এ ধারাবাহিকতায় এলজিইডি কাজিপুর কার্যালয়ের বাস্তবায়নাধীন একাধিক প্রকল্প রয়েছে।