কাজিপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্যাশিয়ার এস এম আলমগীর হোসেনকে হুমকি ও মারধরের ঘটনায় ৪ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত ৫ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা এলাকার আলমপুর গ্ৰামের মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে আল আমিন হোসেন হিটলার(৪০) তার স্ত্রীকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে হাসপাতালে নিয়ে আসেন, সে সময় গাইনি ডাক্তার অপারেশন থিয়েটারে থাকায় হিটলার বিলম্ব না করে হাসপাতালে কর্মরতদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যান। ঘটনাটি মিমাংসার লক্ষ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিটলারের অভিভাবকদের জানান। এর জেরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে হাসপাতালের ক্যাশিয়ার এস এম আলমগীর হোসেনকে পৌর এলাকার মুনলাইট স্কুলের সামনে একা পেয়ে
আলমপুর গ্ৰামের আল আমিন হোসেন হিটলার(৪০), রুহুল আমিন মিল্টন(৪৫) উভয় পিতা মৃত বেলায়েত হোসেন, মেঘাই গ্ৰামের ফারুক হোসেন(৪০) এবং আলমপুর গ্ৰামের স্বর্ণকার পাড়ার সাজনের ছেলে ইমনসহ(২০) ও অজ্ঞাত ৪/৫জন অতর্কিত হামলা চালায়, অভিযুক্তদের হামলায় আলমগীর হোসেন বুকে এবং মাথায় মারাত্মক আঘাত পান, আহতের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় ভুক্তভোগীর পকেটে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণের চেইন খোয়া যায়।
এ ঘটনায় একই তারিখ রাতে ৪ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত ৪/৫ উল্লেখ করে কাজিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোমেনা পারভিন পারুল জানান, আহত আলমগীর বুকে এবং মাথায় আঘাত পেয়েছেন, আমরা অবজারভেশনে রেখেছি অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হবে, সরকারি কর্মচারীদের উপর হামলা বিষয়টি উদ্ধোতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কাজিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দত্ত (পিপিএম) জানান, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, ভয়ভীতি, হুমকি এবং মারপিট সংক্রান্ত মামলা হয়েছে, আসামিরা পলাতক রয়েছেন, গ্ৰেফতারে সচেষ্ট আছেন তিনি।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।