ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে এই গরমে তালের শাঁস বিক্রি হয়েছে। অত্যান্ত সুস্বাদু ও হাতের নাগালে পাওয়ায় সকল শ্রেণির মানুষ এই তালের শাঁস ক্রয় করে খাচ্ছেন। গাছের মালিকরা ভাল দাম পাওয়ায় পাঁকার আগেই গাছ থেকে তাল বিক্রি করে দিচ্ছেন।
একসময় কোটচাঁদপুরে সর্বত্রই বড় বড় তাল গাছ ছিল। এসব গাছে বাস করতো শকুন, চিল, বাজ, বাবুইসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। তাল গাছ না থাকার কারনে এসব পরিবেশ বান্ধব পাখিগুলি হারিয়ে গেছে। তালগাছ বজ্রপাত নিরোধ, পরিবেশ বান্ধব, মাটির ক্ষয়রোধসহ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষাকারী গাছ হিসেবে বিবেচিত। এছাড়া অল্প জায়গায় সর্ববৃহত গাছটি বেঁচে থাকে অনেকদিন। বিভিন্ন প্রয়োজনে তাল গাছ কাটা হলেও বীজের অভাবে রোপন করা হচ্ছে না। এর ফলে দ্রুতই তালগাছ বিলিন হওয়ার আশঙ্কা করছেন বৃক্ষপ্রেমীরা।
তালের শাঁস বিক্রেতা মুরুটিয়া গ্রামের শরিফুল জানান, প্রতিদিন সে চারশত থেকে পাঁচশত তাল বিক্রি করেন। উপজেলায় তার মতো অনেক ব্যক্তি তালের শাঁস বিক্রির সাথে জড়িত।
তিনি আরও জানান, প্রায় ১৫ বছর ধরে এ ব্যবসা করছি। তাল গাছ সাধারনত কেউ রোপন করে না। তাল বর্ষায় পাকে। পাকা তাল পানিতে ভাসতে ভাসতে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে গাছের জন্ম হয়। পরিকল্পিতভাবে তালের গাছ রোপণ করা গেলে বজ্রপাতে এত লোক মারা যেত না।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।