সুমাইয়ার ছোট বোন লিজা আক্তার সুমি বলেন,প্রায় তিন বছর আগে আমার বোনের প্রেম করে বিয়ে হয় সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানার শাজাহান আলীর ছেলে সাজেদুলের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে প্রায় তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। তবে সে অত্যান্ত জেদী ছিলো। ঘটনার দিনও শুনেছি তাদের মধ্যে ঝগড়া ঝাটি হয়েছে।
সুমাইয়া আক্তারের স্বামী সাজেদুল জানান,রুম পরিবর্তন করা নিয়ে আমাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। শুক্রবার বিকেলে ডেল্টার সামনে আমার বাবার দোকানে বসা ছিলাম। সন্ধ্যার সময় সে জরুনের বাসায় চলে আসে। এর মধ্যে কয়েকবার ফোন করেছি রিসিভ করেনি। তিনি বলেন, সে অনেক জেদী ছিলো কিছু হলেই ব্লেট দিয়ে হাত কারতো। পরে রাত দশটা সময় বাসায় এসে দেখি দরজা লাগানো। পরে জানালা দিয়ে দেখি সে স্লিং ফ্যানের সাথে ফাঁস নিয়ে ঝুলে আছে।
প্রতিবেশি জাহিদ হাসান জানান,রাত সাড়ে দশটার
সময় সাজেদুলের ডাক চিৎকারে এগিয়ে যাই। দরজা ভেতর দিয়ে আটকানো দেখে পুলিশে খবর দেই। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জিএমপি কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান,লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসা বাদের জন্য ওই মেয়ের স্বামীকে থানায় আনা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।