গাজীপুর জেলা সংবাদদাতাঃ গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে গৃহবধূ রাবেয়া খাতুনকে (২৩) হত্যার ৯ মাস ১১ দিন পর তার স্বামীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মহানগরীর ৫২ নং ওয়ার্ড মুদাফা এলাকায় হারুনের বাসা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,রংপুর জেলার কোতোয়ালি থানার পালিচড়া বকশিপাড়া গ্রামের হৃদয় (২৮) তার ছোট ভাই রেজাউল করিম (২৫),বাবা লুৎফর রহমান (৫৭) ও মা রানী বেগম (৪৮)। নিহত রাবেয়া খাতুন একই থানার মৃত অহিদুল ইসলামের মেয়ে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাইদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ ঈদগাহ মাঠ এলাকায় রাকিবুল হাসান ওরফে রেশম বেপারীর বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করতো হৃদয়। রংপুরে একই এলাকায় রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে হয় তাদের। তাদের দাম্পত্য জীবনে কোল জুড়ে আসে একটি ফুটফুটে সন্তান। বিয়ের পর থেকেই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। পরে এনিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে একাধিকবার সালিশি বৈঠক হয়। পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং যৌতুকের টাকার দাবিতে হৃদয় ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা তার স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতো।
পরে গত ২৮ জুলাই হৃদয় ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গ্রামে তাদের নিজ বাড়ি নিয়ে যায়। গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পর লাশ উঠানে রেখে হৃদয় ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে ফেলে। খবর পেয়ে রাবেয়া খাতুনের মা মোরশেদা বেগম ও তার চাচা রবিউল ইসলাম এসে দেখেন লাশ উঠানে পড়ে আছে তারা সবাই পালিয়েছে। পরবর্তীতে রংপুর কোতোয়ালি থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেল পাঠায় এবং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।
গত ১০ অক্টোবর রাবেয়া খাতুনের মা বাদি হয়ে হৃদয় ও তার ভাই, বাবা এবং মায়ের নাম উল্লেখ করে কোনাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার পর থেকে হৃদয় তার পরিবারের অন্যসদস্যরা গাজীপুরের টঙ্গী ৫২ নং ওয়ার্ড মুদাফা এলাকায় এসে হারুনের বাসায় ভাড়া থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি শুরু করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম আশরাফ উদ্দিন জানান,শনিবার (১১ মে) দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।