এবছর আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় তুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে কম খরচে অধিক লাভে তুলা চাষে ঝুকে পড়েছেন নাম মাত্র কয়েকজন তুলা চাষী।
নানা ফসলের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া এ তুলা চাষ এখন কৃষকদের অর্থকরী ফসল হিসেবে স্থান করে নিয়েছে পলাশবাড়ীতে। মাত্র ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ করে লাভ পাওয়া যায় ১৮ -১৯ হাজার টাকা।
পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ৫ জন কৃষক তুলা চাষ প্রকল্পে নাম লিখেছেন। জন প্রতি কৃষকরা ৩৩ শতাংশ জমিতে তুলা চাষ করেছে। কৃষি অফিসের তথ্যমতে উপজেলায় এবছর তুলা চাষ হয়েছে পাঁচ কৃষকের পাঁচ বিঘা জমি বাদে দুই হেক্টর জমিতে।
একসময় বাংলাদেশের তুলা ছিল বিশ্ববিখ্যাত। দেশেই উৎপাদিত হতো এই তুলা। ব্রিটিশ শাসনামলে হারিয়ে যায় সেই তুলা চাষ।বেকায়দায় পড়ে দেশের বস্ত্র খাত। প্রায় সিংহভাগ তুলা বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। সম্প্রতি সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এ তুলা চাষে নতুন করে সম্ভাবনা দেখা দেয়। বতর্মানে তুলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল, যা বস্ত্র শিল্পে প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তুলা চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে পলাশবাড়ী উপজেলার ৫ জন কৃষক বাছাই করা হয়। এসব কৃষকদের একবিঘা জমিতে হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল জাতের তুলা চাষের জন্য কৃষকদের দেওয়া হয় প্রণোদনা।
সরেজমিনে পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সুলতানপুর বাড়াইপাড়া গ্রামের জামিরুল ইসলাম রুপালী-১জাতের তুলার ক্ষেতে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে সাদা তুলা। তুলা তুলতে ব্যস্ত চাষি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানাযায়, তুলা চাষের সময়কাল ১১০ থেকে ১২০ দিন। এসময় পূর্ণ হলেই তুলা উঠানো যায়। দামও বেশ ভালো পাওয়া যায়।
তুলা চাষীরা বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে তুলা চাষ করেছি। গাছে শুকনো তুলা দেখে প্রাণটা জড়িয়ে যায়। আশা করছি ভালো ফলন পাব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারঃ) সাইফুনাহার সাথী বলেন, তুলা চাষে অধিক লাভ হয়। অন্য ফসলের তুলনায় খরচ কম। দাম বেশি। তুলা বিক্রিতে ঝামেলা কম। আমরা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি।