প্রিন্ট এর তারিখঃ জানুয়ারী ১৮, ২০২৫, ১১:৫৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ আগস্ট ২৬, ২০২৪, ৫:০৮ অপরাহ্ণ
গাজীপুরে শেখ হাসিনা,সাবেক এমপি মন্ত্রী, ছাত্রলীগ নেতা ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ- ৮৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতাঃ
গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মোঃ মঞ্জু মিয়া (৪৩) নামে এক রাজমিস্ত্রী নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের,সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক এমপি জাহিদ আহসান রাসেলসহ ৮৫ জনের নামে এবং তাদের সহযোগী আওয়ামী লীগের অজ্ঞাতনামা আরোও ৫০০/৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গেল শনিবার রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানায় বাদী হয়ে এ মামলা করেন নিহতের বাবা ইনছার আলী।
নিহত মোঃ মঞ্জু মিয়া রংপুর জেলার পীরগাছা থানার জুয়ান গ্রামের ইনছার আলী ছেলে। সে মহানগরীর বড়বাড়ী এলাকায় মোয়াজ্জেম হোসেনের বাসায় ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রী কাজ করতো।
নিহতের বাবা ইনছার আলী মামলায় উল্লেখ করেন,শেখ হাসিনা,ওবায়দুল কাদের,সাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল,সাবেক সংসদ সদস্য টিপু মুন্সি,সাবেক সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙা,মহানগর আ.লীগের সভাপতি আজমতউল্লাহ খান, সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মহানগর আ.লীগের সহ-সভাপতি আসাদুর রহমান কিরণ, গাছা থানা আ.লীগের সভাপতি মহি উদ্দিন মহি, সাধারণ সম্পাদক আদম আলী, শুভ সরকার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সম্পাদক ইনান, মোশাররফ হোসেন খান,সাবেক পুলিশ মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ এবং ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমারসহ ১৭ জনের নির্দেশ অনুযায়ী গত ২০ জুলাই দুপুর ১২ টার সময় মহানগরীর গাছা থানাধীন কুনিয়া বড়বাড়ী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে কাঁচা বাজারের সামনে রাস্তায় অবস্থানরত আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার উপর হামলা করে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরীভাবে কিল,ঘুষি, লাথি মারিয়া, লাঠি ও লোহার রড দিয়া বাইরাইয়া, এলোপাথারী মারপিট করিয়া আমার ছেলে মোঃ মঞ্জু মিয়াসহ প্রায় ২৫/৩০ জন আন্দোলনকারীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা ও কাটা রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে ১-১৭নং আসামীর নির্দেশে ৬ নং আসামী মোঃ আজমত উল্লাহ খান ও ৭নং আসামী জাহিদ আহসান রাসেল স্ব-শরীরে উপস্থিত থাকিয়া তাহাদের হুকুমে ও প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় অবৈধ পিস্তল ও বন্দুকধারী এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত নামীয় আসামীরা ছাত্র জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারীভাবে
গুলি ছুড়িতে শুরু করে। ঐ সময় আসামীদের ছোড়া গুলিতে ২০ জুলাই দুপুর সোয়া ১ টার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র- জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী আমার ছেলে মোঃ মঞ্জু মিয়া এর পেটের বাম পাশে গুলি ঢুকিয়া পিছন দিয়া বাহির হইয়া যায়। যাহার ফলে আমার ছেলে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ডাকচিৎকার করিয়া একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়া পড়ে। ঘটনার বিষয়ে সংবাদে পেয়ে আমার ছেলের বউ মোসাঃ রহিমা বেগম (৩১) উপস্থিত ছাত্র-জনতার সহায়তায় চিকিৎসার জন্য দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ছেলের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার অবস্থা আশংঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। আমার ছেলেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই দিনই বিকেল সাড়ে চারটার সময় মৃত্যু বরণ করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।
Copyright © 2025 কলমের বার্তা. All rights reserved.