গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যুবদল নেতার নেতৃত্বে বিদ্যালয়ে এক শিক্ষককে ধরে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময়ে শিক্ষককে রক্ষা করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থীও হামলার শিকার হয়েছেন।
আহত হলেন, চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকার বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায়ী শাখার সহাকারী শিক্ষক মো. বসির উদ্দিন ও প্রাক্তণ শিক্ষার্থী জিভী আহাম্দে সজীব।
পুলিশ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে বসির উদ্দিন ও প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার গল্প করছিলেন। এমন সময় জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রনির নেতৃত্বে উপজেলার যুবদলের যগ্ম আহ্বায়ক রিপন আহমেদ, যুবদল কর্মী রাকিব হাসান ও তাজিদ মিয়া লাঠিশোঠা নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে। পরে সহকারী শিক্ষক বসির উদ্দিনকে জোড়পূর্বক ধরে নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে নিয়ে এলেপাথারী মারধর করে। এসময়ে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রিজভী আহাম্দে সজিব দেখতে পেয়ে রক্ষা করতে গেলে তাকে এলোপাথরী পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পরে বিদ্যালয়ের দফতরিসহ আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনার খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
কলেজের প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার বলেন, যুবদল নেতা রাশেদুল ইসলাম রনি, রাকিব হোসেনসহ কয়েকজন বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে জোড়পূর্বক ওই শিক্ষককে ধরে নিয়ে যায় এবং বেধম মারধর করে।
এব্যাপারে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রনি বলেন, ওই শিক্ষক আওয়ামী লীগের রাজনীতি করত যার কারণে তাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান বলেন, যুবদলের কোনো নেতা শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় জাড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামিল হোসেন বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তুলের তাকে বিতারিকত করতে চাইছে একটি পক্ষ। তারই জের ধরে যুবদলের কিছুলে লোক ওই শিক্ষককে মারধর করেছে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।