করোনা সংক্রমনের ঝুকিতে রেড জোনে রয়েছে গাজীপুর জেলা। রেড জোনে থাকা সত্ত্বেও গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার দেওয়ার বাজার এলাকায় গত দশদিন ধরে একটি মেলা চলছে। স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে মেলায় মানুষ ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়াচ্ছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সরকারের সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার দেওয়ার বাজারে চলছে শ্রী পাগল নাথের মেলা।
এলাকাবাসী জানায়, কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের দেওয়াইর এলাকায় ওই মেলা গত ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী পৌষ সংক্রান্তি মেলা (কেশা পাগলার মেলা)। কয়েকশ’ বছর ধরে চলে আসা রেওয়াজ অনুসারে ইতিমধ্যেই শ্রীনাইল পাগলধাম আশ্রমে ছুটে এসেছেন দেশের বিভিন্ন এলাকার কেশা পাগলার ভক্ত। মেলায় মাটি, বাঁশ, কাঠ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন খেলনাসামগ্রী, গৃহস্থালীসামগ্রী, আসবাবপত্র ও দেব-দেবীর মূর্তির পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, মেলায় স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। প্রতিদিন মাস্কবিহীন শত শত ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা মেলায় আগমন করছে। এদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই, মানছে না সামাজিক দূরত্ব। বিভিন্ন বয়সী মানুষের পাশাপাশি মেলায় ঘুরতে এসেছে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা। এতে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই এখনি কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী মনে করছেন এলকার সুশীল সমাজ।
বলিয়াদি গ্রামের বাসিন্দা জাফর আলী বলেন, করোনার মধ্যেও কিভাবে মেলা চলছে। বাচ্চাকাচ্চার স্কুল বন্ধ হয়েছে। তারা মেলায় চলে যাচ্ছে। মেলায় বিভিন্ন জেলা হতে পাগলদের উৎপাত হয়, রাত জেগে জেগে নেশা করে আর গান বাজনা করে।
মেলায় ঘুরতে আসা টান কালিয়াকৈর উপজেলার আবির হোসেন বলেন, প্রতিবছরই পাগলা মেলায় আসি। ভেবেছিলাম করোনার মধ্যে এবার মেলা হবে না কিন্তু মেলা হচ্ছে একারণে ঘুরতে এসেছি। তবে সবার মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ ছিল।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, মেলা বন্ধ করার জন্য দুই দিনের সময় দেয়া হয়েছে। এরপরও বন্ধ না করা হলে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয়া হবে।