রাজধানীর গুলশান থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় জামায়াত–শিবিরের ১১ নেতা–কর্মীকে ১ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। অপর পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক। এর আগে পুলিশ এই ১১ আসামিকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেকের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওই ১১ জন হলেন জামায়াতে ইসলামীর গুলশান পূর্ব শাখার সভাপতি হোসাইন বিন মানসুর, গুলশান থানা পূর্ব শাখার সদস্য মুফতি রহমতুল্লাহ বিন তোফাজ্জল হোসেন, জামায়াত কর্মী এ কে এম আবদুস সালাম, সাইমুম জামিল, মো. হাফিজুর রহমান, আবদুল্লাহ আল মাহফুজ, আঞ্জুম বিন কামাল, নূর মোহাম্মদ মনির, সালাহউদ্দীন সাব্বির, আবদুর নূর ওরফে নূরনবী ও নাসির উদ্দীন।
গতকাল সোমবার রাতে গুলশানের শাহজাদপুরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরের নেতা-কর্মী।
ডিএমপি বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও ২ জন নারী সদস্য। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পাশাপাশি সরকারকে বেকায়দায় ফেলার বিষয়ে আলোচনা করতে তাঁরা শাহজাদপুরের একটি বাড়ির নিচতলায় একত্র হয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে আটটি ককটেল, বই ও বিভিন্ন নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে গুলশান থানায় মামলা হয়েছে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।