জয়পুরহাটে গত ১০ ই জানুয়ারি আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টা হইতে পরের দিন সকালের মধ্যে কালাই উপজেলার তেলিহার গ্রামের একটি গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ৭ জন, মটর সাইকেল চোর চক্রের সদস্য ৪ সদস্যসহ মোট ১১ জন কে গ্রেপ্তার করেছে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ।
উক্ত বিষয়ে ১১ ই জানুয়ারি কালাই থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। গত কাল মঙ্গলবার দিন ও রাতে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা, পিপিএম-সেবা”র, দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবি ওসি শাহেদ আল মামুন মামলার তদন্তকারীর পৃথক একটি অভিযানে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মিটার চোরেরা হলেন, কালাই উপজেলার বেগুন গ্রামের সামাদ ফকিরের ছেলে মাহফুজার রহমান( সাদ্দাম) (৩০) একয় উপজেলার কাথাইল গ্রামের মামুনুর রশীদের ছেলে জয়নাল হাজারী(৩৭) মাত্রাই গ্রামের আঃ রহমানের ছেলে জাকারিয়া (২৫), মিনহাজুলের ছেলে আরিফ (২০) ময়নুলের ছেলে সুজাউল মিয়া (২০), দেওগ্রামের মোজাম্মেলের ছেলে আঞ্জুমান (৩৯) ও হাটশিখা গ্রামের বলরাম চন্দ্রের ছেলে কানাই চন্দ্র (৪২) তাদের দেখানোমতে ৪ টি মিটারসহ চুরির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে গত ৩০ ই জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টা থেকে ৮ টার মধ্যে পৌরসভার ধানমন্ডি পূর্ব বাজারের বন্ধন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে পাঁচবিবি উপজেলার রসুলপুর গ্রামের রাজ্জাকের ছেলে মুর্তজার ১ টি এ্যাপাসি আরটিআর ( Apache rtr) মটর সাইকেল চুরি হয় যায়, পরে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আনিছুর রহমান ও তার সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ পাঁচবিবি -হিলি রাস্তা হতে পাচবিবি পৌর এলাকার ফকির পাড়ার শহিদুলের ছেলে তুহিন (২১), একই গ্রামের আতোয়ারের ছেলে নাদিম (১৯), তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মুন্সিপাড়ার আতিকুজ্জামানের ছেলে লাবিব (২০),ফকির পাড়ার আমজাদের ছেলে শাওন (২৫) কে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে উন্য একটি Apache RTR রেজিঃ জয়পুরহাট -ল – ১১-২৩৭২ ও ২ টি মাস্টারকে উদ্ধার, চুরি হওয়া মটর সাইকেল উদ্ধারের কাজ চলমান রয়েছে।
বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গ্রেপ্তারকৃত মিটার ও ট্রান্সফরমা চোরের মূলহোতা সাদ্দামের নেতৃত্বে অন্য সদস্যরা বৈদ্যুতিক মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরি করে, মালিকদের নিকট হইতে বিভিন্ন ভাবে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতো, অর্থ পেলে তাদের নিকট মিটার বা ট্রান্সফরমা কৌশলে পৌঁছে দিত, না পেলে অন্য জায়গায় বিক্রি করতো এবং মোটরসাইকেল চোর এর সদস্যরা ২ টি মাস্টারকে ব্যবহার করে যেকোনো মোটরসাইকেল ১ মিনিটের মধ্যে নিয়ে যেতো। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ একাধিক চুরি ছিনতাই ও ডাকাতি মামলার আসামি। আমরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন ভাবে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়, পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সুলতান মাহমুদ জয়পুরহাট প্রতিনিধি