ঝালমুড়ি বিক্রেতা সেজে প্রথমে টার্গেট করতেন অটোরিকশা। পরে চালকের অসচেতন করে ছিনিয়ে নেয়া হতো অটোরিকশা। সম্প্রতি এক অটোরিকশা চালক হত্যার ঘটনায় তদন্তে নেমে এমন একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডে এরই মধ্যে চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের উপ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ।
তিনি জানান,গত ১২ ফেব্রুয়ারি কাশিমপুর থানাধীন লোহাকৈর মাজারের পুকুর থেকে প্রথমে অজ্ঞাত নামা হিসেবে মরদেহ উদ্ধার পরে পুলিশের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে পরিচয় অটোচালক হুমায়ুন কবির।
নিহত হুমায়ূন কবীর রংপুরের কাটাবাড়ি গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে। তিনি দেশী পাড়া এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করে অটোরিকশা চালাতেন।
পরিচয় সনাক্তের পর পুলিশ নিহতের স্বজন ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্ত ছিনতাইকারী আলমগীর ও শামসুলকে কোনাবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বরিশালের উজিরপুর থেকে অপর আসামি টুকু ও আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আল আমিন গত ০৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ঝালমুড়ি বিক্রেতা সেজে সালনা ব্রিজের কাছে অবস্থান করে। ভিকটিম অটোরিকশা চালক হুমায়ূন তার কাছ থেকে ঝালমুড়ি কিনতে গেলে কৌশলে আল আমিন মুড়িতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। এসময় ছিনতাইকারী চক্রের অপর সদস্য শামসুল ও টুকু যাত্রী হিসেবে অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে কোনাবাড়ি এলাকায় পৌঁছান। সেখান চালক অচেতন হয়ে গেলে ছিনতাইকারীরা অটোরিকশার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এক পর্যায়ে রাতে ভিকটিমকে লোহাকৈর মাজারের পুকুরে ফেলে পালিয়ে যান তারা । পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই চালকের মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, চক্রের সদস্যরা একাধিক মামলার আসামি। তারা ছিনতাই কাজে ঝালমুড়ি বিক্রেতা, চা বিক্রেতা সেজে অভিনব কায়দায় ছিনতাই করে আসছে।