গাজীপুরের টঙ্গীতে পুলিশের অভিযানে মাদক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামীকে গ্রেফতারের সময় আইনি কাজে বাধা ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে মানহানির অভিযোগ করেছেন টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন তিলারগাতি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মাসুদ মন্ডল।
মাসুদ মন্ডল বলেন, স্থানীয় চায়ের দোকানে কথা বলছিলাম এমন সময় বসে থাকা একজন সামনে একটি পত্রিকা এনে বলে দেখেন আপনাদের বিরুদ্ধে কিসব লিখেছে পত্রিকায়। পত্রিকাটি পরে জানতে পারি যে বিগত ৩০.০১.২০২২ইং তারিখে মাদক মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর স্ত্রী ও কন্যা আমার পরিবারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করেছে। টঙ্গী পশ্চিম থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বর্তমান যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক ইস্তিয়াক আহামেদ জিম এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান দীর্ঘদিন যাবত মাদকের কারবার করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পূর্ববর্তী মাদক মামলার ওয়ারেন্ট এর ভিত্তিতে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোঃ ইশতিয়াক আহমেদ জীম এর ছত্রছায়ায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ীর পরিবার আমাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার জন্য মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদ সম্মেলন করে। আমি ও আমার পরিবার এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, আমার চাচাতো ভাই মোঃ রুবেল মন্ডল কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। রুবেল গাজীপুর জেলা ক্রীকেট দলের একজন খেলোয়ার ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র একজন নিয়মিত পেশাদার খেলোয়ার, যার রেজি নং-১৬৮৮৯। ইতিপূর্বে সে অনূর্ধ্ব ১৯ দলেও খেলেছে এবং সে একজন ক্রীড়া সংগঠক। তার প্রতিষ্ঠিত ক্লাবের নাম প্যারাডাইস স্পোর্টিং ক্লাব। রুবেল এই সংগঠনে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছে। ইটি মধ্যে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে প্রচারিত সংবাদের বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। ডাইরী নং-৭৬/০২.০২.২০২২। গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অনুরোধ করবো আপনারা সকলের মতামত নিয়ে বস্তনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করবেন। আপনাদের সুন্দর তথ্য যেমন অন্ধকারে আলো জ্বালায়, তেমনি একটি মিথ্যা তথ্যে মানুষের পথচলাকে বিনষ্ঠ করে।
এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মোঃ শাহ আলম বলেন, ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে মোস্তফা মন্ডল’র বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোস্তফা গোয়াল ঘরে পালানো অবস্থায় ৪শত ৬০ গ্রাম গাঁজা এবং মাদক বিক্রির নগদ ২১৬০ টাকাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে মাদক মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয় (মামলা নং- (১৬-০১-২২)। মোস্তফা খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। এলাকায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে।