ঠাকুরগাঁওয়ে শুক নদীর বুড়ির বাঁধ এলাকায় মাছ ধরার ধুম পড়েছে। কিন্তু গত বছরের চেয়ে এ বছরে মাছের সংখ্যা অনেক টাই কম জেলেরা মাছ ধরতে এসে খালি হাতে অনেকে ফিরে গেছে৷
বুধবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের বুড়ির বাঁধের গেট খুলে দেওয়ায় মাছ ধরতে নামে কয়েক গ্রামের সহস্রাধিক জেলেসহ সাধারণ উৎসুক মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাছ ধরার জন্য গ্রাম ও শহরের শত শত মানুষ ব্যস্ত। নারী-শিশুসহ বৃদ্ধরাও রয়েছেন এ দলে। সবাই জাল, পলো, খোচা ও লাফিজাল নিয়ে নেমে পড়েছেন। এছাড়া যাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম নেই তারাও মাছ ধরতে নেমে গেছেন কাঁদার মধ্যে। সব মিলিয়ে এখানে এক ধরনের মাছ ধরার উৎসব দেখা গেছে। অনেকেরই মন খারাপ মাছ ধরতে এসে মাছ না পেয়ে৷
আকচা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন বলেন বর্ষাকালে পানি ধরে রাখার পর কার্তিক মাসের প্রথম দিকে বুড়ির বাঁধের গেট খুলে দেওয়া হয়। এতে উজানের পানি কমে যায়। আর এ সুযোগে মাছ ধরতে নামে কয়েক গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ।
ভোর থেকে শুরু হওয়া এ মাছ ধরা চলবে রবিবার (২০ অক্টোবর) পর্যন্ত বলেও জানান তিনি।ঠাকুরগাঁও সদর সেনুয়া ইউনিয়নের শরিফুল ইসলাম বলে ভোর থেকে মাছ ধরতে আসছি তিনি বলেন, মাছ ধরতে ভোরে এখানে এসেছি। শখের বশে মাছ ধরছি। কিন্তু মাছ তো পেলাম না৷
তার মতো আর ও এক জনের সাথে কথা হয় চামেশ্বরী পাড়ার জহর আলী মাছ ধরতে আসে জানান, এখানে মাছের মধ্যে রয়েছে- ট্যাংরা, পুঁটি, শিং, তেলাপিয়া, টেরিকা, কৈ, মাগুর ও শোল।
দেশি প্রজাতের মাছ কিনতে এসে অনেকে মাছ না নিয়ে চলে গেছেন যাওয়ার কারণ হলো মাছের অতিরিক্ত দাম এখানে পুঁটি মাছ দেড়শ’ থেকে ৩শ’ টাকা আর গছিপোয়া মাছ সাড়ে ৩শ’ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। তাজা মাছের স্বাদই আলাদা, তাই একটু কষ্ট হলেও বুড়ির বাঁধে এসেছি মাছ কিনতে কিন্তু বেশি দামের কারণে নেওয়া হলো না৷
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।