আবেগাপ্লুত তামান্না অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ছোট আম্মু (শেখ রেহানা) আমাকে ফোন দেন। তিনি আমার ফলাফলের জন্য অভিনন্দন জানান। আমার আঁকা ছবিরও প্রশংসা করেন। তিনি বলেছেন “আমরা দুই বোন যত দিন বেঁচে আছি তোমার পাশে থাকব”।’ তামান্না বলেন, ‘পরে সন্ধ্যা ৬টা ৫৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী আমার মোবাইলে ফোন দেন। ৪ মিনিট তাঁর সঙ্গে কথা হয়। তিনিও আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে একটি আবেদনও করতে বলেন তিনি।’
ঝিকরগাছার আলীপুর গ্রামের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন দম্পতির মেয়ে তামান্না চার হাত-পায়ের মধ্যে কেবল একটি পা নিয়েই জন্ম নেন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তামান্না বড়। এইচএসসির মতো পিইসি, জেএসসি ও এসএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন তামান্না। বাবা রওশন আলী স্থানীয় একটি নন-এমপিও মাদরাসার শিক্ষক। টানাটানির সংসারেও তামান্নার স্বপ্ন পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে আসছেন তাঁরা।রওশন আলী বলেন, ‘শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তামান্নাকে কখনই দমিয়ে রাখতে পারেনি। আমার বিশ্বাস ছিল একদিন বাংলাদেশের মানুষ আমার এই মেধাবী মেয়েটির পাশে দাঁড়াবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা যখন তামান্নাকে ফোন দিয়ে তামান্নার সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন, আমরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই।’
ঝিকরগাছার এসি-ল্যান্ড ড. নাজিব হাসান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা তামান্নার সঙ্গে কথা বলেছেন। অদম্য মেধাবী তামান্নার স্বপ্ন পূরণে রাষ্ট্র ও সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবে। তামান্নার অসাধারণ ফলের পর ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়মিত তামান্নার খোঁজখবর নিচ্ছেন। তামান্নার স্বপ্ন পূরণে যা যা প্রয়োজন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা করা হবে।’