চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে দিন ব্যাপী বসেছে দইয়ের মেলা। যা জমিদার আমলে এ অঞ্চলের প্রথম তাড়াশেই শুরু হয়েছিল । আজ শনিবার ভোর থেকে নামীদামী ঘোষদের দই আসার মধ্য দিয়ে তাড়াশের প্রায় দু’শ বছরের অধিক সময় ধরে ধারাবাহিক ভাবে চলে আসা ঐতিহ্যবাহী এ দইয়ের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এ মেলায় দইসহ রসনা বিলাসী খাবার কেনা বেচা হয়।
প্রতি বছর শীত মৌসুমের মাঘ মাসে শ্রী পঞ্চমী তিথিতে দই মেলায় বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী থেকে ঘোষেরা দই এনে মেলায় পসরা বসিয়ে কেনা-বেচা করেন। জমিদার আমল থেকে শুরু হওয়া তাড়াশের দইয়ের মেলা মাঘ মাসের শ্রী পঞ্চমী তিথিতে উৎসব আমেজে বসার বাৎসরিক রেওয়াজ এখনও আছে।
স্থানীয় একাধিক ঘোষের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুধের দাম, জ্বালানী, শ্রমিক খরচ, দই পাত্রের মূল্য বৃদ্ধির কারণে দইয়ের দামও বৃদ্ধিও পাচ্ছে। তবে চাহিদা থাকার কারণে কোন ঘোষের দই অবিক্রীত থাকে না। যার কারণে মেলার আগেই ঘোষেরা দই তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পরেন এবং এই দিনে তা বিক্রি করেন।
সরেজমিনে তাড়াশের দই মেলায় দেখা গেছে, মেলায় শিশু কিশোরদের পাশাপাশি বয়োবৃদ্ধদের দইয়ের দোকানে দই কিনতে ভিড় জমাতে।
দই মেলায় আশা ক্রেতা শ্রী প্রদিপ কুমার ঘোষ বলেন, আমরা প্রতি বছর এই দিনে দই মেলায় থেকে দই কিনে পরিবার নিয়ে আনন্দ উল্লাম করি ও আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি পাঠাই।
দইয়ের মেলায় আসা এ অঞ্চলের দইয়ের স্বাদের কারণে নামেরও ভিন্নতা রয়েছে। যেমন-ক্ষীরসা দই, শেরপুরের দই, বগুড়ার দই, টক দই, শ্রীপুরী, ডায়াবেটিস দই সহ এ রকম হরেক নামে ও দামের দই বিক্রি হয় দই। বিশেষ করে বগুড়ার শেরপুর, চান্দাইকোনা, শ্রীপুর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশের দই প্রচুর বেচাকেনা হয়।