সিরাজগঞ্জে তাড়াশে মাদকাসক্ত জামাই মোঃ সিপন সরদার (৩৫) এর বিরুদ্ধে মেয়েকে মারপিট ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় এজাহার দিয়েছেন শশুর মোঃ মঞ্জিল খান। সিপন সরদার উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের কুন্দইল গ্রামের মোঃ আইয়ুব সরদারের ছেলে। এ অভিযোগে আইয়ুব সরদারকে ২য় আসামী করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে।
এজাহার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ৮ বছর পূর্বে মঞ্জিল খানের মেয়ে মোছাঃ মুন্নি খাতুনের একই গ্রামের আইয়ুব সরদারের ছেলে সিপন সরদারের সাথে সামাজিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ে পর থেকেই সিপন নেশা খেয়ে এসে মুন্নিকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছে। এমতাবস্থায় গত ১৮ নভেম্বর রাত ১০ টার দিকে সিপন নেশা করে এসে মুন্নিকে মারপিট করে বাবার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয় । এমতাবস্থায় আইয়ুব সরদারের হুকুমে সিপন গত ২৩ নভেম্বর সকাল ৯ টার দিকে কুন্দইল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আমার ছেলে মোঃ আংঙ্গুর খানকে অতর্কিত ভাবে হামলা করে এলোপাতারী মারপিট করে। পরে এলাকার লোকজন সিপনের হাত থেকে আংঙ্গুরকে রক্ষা করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই দিন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সিপন মুন্নিদের বাড়িতে গিয়ে শশুর মঞ্জিলের কাছ থেকে নেশা খাবার জন্য টাকা চায়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে সিপন টাংকের তালা ভেঙ্গে নগদ দুই লক্ষ টাকা নিয়ে যায় এবং শশুর মঞ্জিলকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান দেয়। এর পরে ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার সময় ফোন দিয়ে শশুর মঞ্জিলকে বলে তার ছেলেকে তার বাড়িতে দিয়ে যেতে। আর ছেলেকে না দিলে তোদের পরিবারের সকলকে যেখানেই পাবো মেরে ফেলবো।
এ বিষয়ে মঞ্জিল খান বলেন, সোমবার দুপুরে থানায় এজাহার দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, মাদকাসক্ত জামাইয়ের ভয়ে আমরা পরিবারের সবাই বাড়িতে যেতে পারছি না বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। সেই সাথে জানমাল নিয়ে অনিরাপদে আছি।
তাড়াশ থানার এসআই মোঃ রনজু মিয়া মংগলবার বিকেলে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যবহারে এসআই মোঃ রনজু মিয়া বলেন, সঠিকভাবেই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।