গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুর রশিদ (৩৫) নামে এক পোশাক শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তিন বখাটের বিরুদ্ধে। এঘটনার পর থেকেই তিন বখাটে পলাতক রয়েছে। মিমাংসার জন্য বিভিন্ন জনকে দিয়ে চালাচ্ছে জোর তদবীর।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কোনাবাড়ী থানাধীন জরুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত আব্দুর রশিদ টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার আলম নগর গ্রামের জয়নাল আবেদীন এর
ছেলে। সে পরিবার নিয়ে ওই এলাকায় সাইজুদ্দিন আহমেদ এর ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করতো। সে বর্তমানে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
অপর দিকে অভিযুক্ত ৩ বখাটে হলেন কোনাবাড়ী
থানাধীন জরুন এলাকায় সানোয়ার খন্দকার এর
ছেলে অপু (২৪),সাকিব (১৭) এবং সায়েম (১৪)।
সম্পর্কে তারা সহোদর তিন ভাই। ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে কোনাবাড়ী থানায় ছিনতাইসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে।
আহতের স্ত্রী জোসনা বেগম বলেন, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে অপু জরুন খেলার মাঠে ফুটবল খেলছিল। হঠাৎ তাদের বল এসে আমার দেড় বছরের বাচ্চার মুখে লাগে। তখন আমার ছোট ভাই শাকিল (১৮) (শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী) বুজতে না পেরে বলটি বাসায় এনে ইশারা দিয়ে বোঝাচ্ছিল যে,তারা খেলার সময় এই বলটি আমার ছোট বাচ্চার মুখে লাগে। তখন আমার স্বামী বলটি তাদের ফেরত দিতে গেলে অপুর সাথে বাকবিতন্ডা হয়। অপু আমার স্বামীর শার্ট এর কলার ধরে ধাক্কা মারে। পরে আমার স্বামী অপুকে বোঝাতে চেষ্টা করে তার শ্যালক শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী বুজতে পারেনি তাই বলটি বাসায় নিয়ে যায়। কোন কথাই শুনতে নারাজ বখাটে অপু।
সে তার আরো বখাটে দুই ভাইকে ফোন করে ডেকে আনে। তারা হাতে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র (বাটাম, লোহার রড) নিয়ে ফিল্ম স্টাইলে আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে। সবাই দাঁড়িয়ে থেকে দেখেছে তাদের তান্ডব, কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলাম বাসার ভিতর থেকে বের হয়ে দেখি তারা আমার স্বামীকে মারছে। আমি নিষেধ করলে বখাটে অপু আমাকেও বাটাম দিয়ে দুইটা বারি মারে। পরে আমার স্বামীকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। তিনি বলেন,মাথায় ১৬ টি সেলাই লেগেছে। এছাড়াও পুরো শরীরে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। ডাক্তার বলছে সিটিসক্যান করতে। কান্না করতে করতে জোসনা বেগম বলেন, আমরা ভাড়াটিয়া বলে মানুষ না। তারা স্থানীয় বলে যা খুশি তাই করবে।
এ বিষয়ে জানতে বখাটে অপুর সাথে যোগাযোগের
চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.মহিউদ্দিন ফারুক বলেন,এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।