দেশে তৈরি অত্যাধুনিক ১০ নৌযান কোস্টগার্ডে
উপকূলীয় এলাকায় নিয়মিত টহল প্রদান, মাদক চোরাচালানবিরোধী অভিযান ও সমুদ্রগামী জাহাজে দুর্ঘটনা-পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রমে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। গতকাল খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত দুটি টাগ বোট, ছয়টি হাইস্পিড বোট, একটি ফ্লোটিং ক্রেন, নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে নির্মিত একটি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল কোস্টগার্ডকে হস্তান্তর করা হয়।
এর ফলে কোস্টগার্ডের ফায়ার ফাইটিংসহ সাড়ে ৩ হাজার টন ওজনের জাহাজে বার্থিং/আন-বার্থিং (ছোট জায়গায় মুভমেন্টে সহযোগিতা), জাহাজের দুর্ঘটনাকালীন সহযোগিতা, ডুবন্ত জাহাজ উদ্ধার অনুসন্ধানসহ অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান খুলনা শিপইয়ার্ডে অনুষ্ঠিত হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কোস্টগার্ডকে এই অত্যাধুনিক নৌযানগুলো হস্তান্তর করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যের নব্বই শতাংশই সমুদ্রপথে সম্পন্ন হয়। প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ায় বঙ্গোপসাগরে বিশাল সমুদ্র সম্পদের ভাণ্ডার আমাদের অধিকারে এসেছে। এগুলো আহরণ ও সমুদ্রগামী জাহাজের নিরাপত্তায় কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। অত্যাধুনিক ফ্লোটিং ক্রেন, টাগ বোট, হাইস্পিড বোট, ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেলের মাধ্যমে কোস্টগার্ড এখন সত্যিকার অর্থে ‘গার্ডিয়ান অব সি’ পরিচিতি পেয়েছে। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভেন লিউইন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, খুলনা নেভাল এরিয়ার কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আনোয়ার হোসেন ও কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম সামছুল আজিজ। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে এসব বোট নির্মাণের জন্য খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।