ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ঈশ্বরদীতে সঙ্গবদ্ধ ৪ ডাকাত অস্ত্র ও প্রাইভেট কারসহ আটক হয়েছে। সোমবার (২৪ জানুয়ারী) রাত ২.৪৫ মুলাডুলি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আড়পাড়া বটতলা এলাকায় এলাকাবাসী এদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আটককৃত ডাকাতদের মধ্যে রয়েছে জনি আহম্মদ (২৭), মাহাবুব (৪০), বাচ্চু (২৭) ও রকি (২৬)। এরা সকলেই কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা বলে থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ নিশ্চিত করেছেন। এদের সাথে সংশ্লিষ্ঠ আরও ৫-৭ জন পালিয়ে যায় বলে ওসি জানিয়েছেন।
এলাকার ইউপি সদস্য তারা মালিথা ও এলাকাবাসীরা জানান, এলাকায় গরু চুরির কারণে কিছুদিন যাবত এলাকাবাসী রাতে পাহারার ব্যবস্থা করে। ওই রাতেও প্রায় ১৭জন পাহারায় ছিল। পাহারারত গ্রামবাসীরা দ্যাখেন, সোমবার গভীর রাতে (২.১৫ মিনিট) রাজাপুর বাজার হতে একটি কালো প্রাইভেট কার মুলাডুলি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আড়পাড়া বটতলা এলাকায় এসে থামে।
এসময় ডাকাত চক্রের এক সদস্য গাড়ী থেকে নেমে চারিপাশ দেখতে থাকে। তাদের চলাচল সন্দেহ মূলক ও অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে তাদের গাড়ীর গতিরোধ করে এবং চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকে। এতে গ্রামবাসীসহ অন্যান্য পাহারাদাররা এগিয়ে এসে তাদের প্রশ্ন করতে থাকেন। এসময়ও কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হওয়ায় ডাকাত দল বলতেই একজন দৌঁড়ে পালিয়ে যান। এই অবস্থায় ৪ সদস্যকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
এলাকাবাসী রিপন হোসেন জানান, সন্দেহের পর তাদের গাড়ী তল্লাশী করলে মধ্যযুগীয় অস্ত্র এবং একসেট অটো চাবি (যাহা যে কোন তালা খোলা যায়) পাওয়া যায়। এসময় গ্রামবাসী ডাকাতদের মারধর এবং ব্যবহৃত কালো প্রাইভেট কার ( কুষ্টিয়া গ-১১০০০২) ভেঙ্গে ফেলেন।
খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) হাদিউল ইসলাম এবং এসআই মুকুলসহ সঙ্গীয় ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় ডাকাত সদস্যদের ৪ জনকে উদ্ধার করেন। প্রকৃতপক্ষেই এরা সঙ্গবদ্ধ ডাকাত বলে হাদিউল জানিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে ওসি জানান, এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। মামলা দায়েরের পর ডাকাতদের পাবনা জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।