দেশজুড়ে বিশাল কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে শেষ হয়েছে প্রথম ডোজের টিকাদান কর্মসূচী। এখন শুধু স্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে প্রথম ডোজের টিকা পাওয়া গেলেও আর কোন বড় কর্মসূচীর মাধ্যমে প্রথম ডোজের টিকা পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে গণটিকা বা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে যারা করোনার প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন আগামী ২৮ মার্চ তাদের দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হবে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে অনুমতি পাওয়া মাত্র শুরু হবে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচী। এর জন্য নেয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, করোনা থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে জনগণকে গণটিকাদান কর্মসূচীর মাধ্যমে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। তার দ্বিতীয় ডোজ আগামী ২৮ মার্চ থেকে শুরু হয়ে চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তারা সবাই দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাবেন। যে কেন্দ্রে টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন সেই কেন্দ্রেই দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাওয়া যাবে। সোমবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এদিন দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা-সংক্রান্ত জরুরী বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা টিকা ক্রয় এবং দেয়ার পেছনে খরচ হয়েছে। কিছু টিকা আমাদের বাড়তি আছে। এসব টিকা বিভিন্ন দেশকে উপহার হিসেবে দিয়ে দেব। মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়ে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তাদের অনুমোদন পাওয়া মাত্রই কার্যক্রম শুরু করে দেব। তিনি বলেন, ১২ বছরের উর্ধে যারা আছে, সে সব শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়েছি। এবার আমরা ১২ বছরের নিচে এবং পাঁচ বছরের উর্ধে শিক্ষার্থীদের টিকা দেব। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। তারা জানিয়েছে শিক্ষার্থীদের তালিকা হচ্ছে। আমাদের প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রাখছি। এ সময় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের টিকাদানের সম্ভাব্য সময় জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, এটা নির্ভর করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্তের ওপর। সেটি নিয়ে এখনি আমরা কিছু বলতে পারছি না।
এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সর্বনিম্ন পাঁচ বছর থেকে তদুর্ধ বয়সী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে বয়সভিত্তিক ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা এবং টিকাকেন্দ্রের তথ্য প্রেরণে বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।