প্রিন্ট এর তারিখঃ জানুয়ারী ২৩, ২০২৫, ৪:১৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারি ৮, ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ণ
পড়ার মতো কাপড়ও নাই ভাই
পড়ার মতো কাপড়ও নাই ভাই। গার্মেন্টসে চাকরি কইরা খাই। কত কষ্ট কইরা ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা গুছাইছিলাম গ্রামে বাড়ি করমু। আগুনে পুইড়া আমার সব শেষ হইয়া গেছে। আইজকা রাইতে বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। বাড়ি যাওয়ার জন্য বাসের টিকিটও কাটছি। বাসায় আইসা দেখি আগুনে সব পুইড়া গেছে। কথাগুলো বলছিলেন
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ি থানাধীন বাঘিয়া বাবর পাড়া গ্রামের বাহার জান আক্তারের বাসার ভাড়াটিয়া মমরেজা বেগম।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাত ৯ টার সময় কোনাবাড়ি থানাধীন বাঘিয়া বাবর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায়ই ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ওই বাসার ভাড়াটিয়া দুলাল।
ক্ষতিগ্রস্ত ভাড়াটিয়ারা হলেন, মোঃ দুলাল, মোঃ শাকিল, আলম,রফিকুল ইসলাম ও মমিনুর ইসলাম।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায় বাঘিয়া বাবড় পাড়া এলাকায় রাত ৯ সময় বাহার জান আক্তারের বাসায় ভাড়াটিয়া শাকিল এর সেমি পাকা টিনসেট রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা মুহূর্তের মধ্যে পাশে আরো চারটি রুমে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস স্থানীয়দের সহয়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে।
প্রত্যক্ষদর্শী মামুন হোসাইন বলেন,আমি ঘুমাইয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি শাকিল এর রুমে আগুন জ্বলছে। পরে রুম থেকে বের হয়ে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। শাকিল বলেন,আমার মায়ের
গহনাসহ টাকা পয়সা যা ছিলো সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা বলেন,এ ঘনটার পর থেকেই শাকিল ও তার স্ত্রী তিন্নি পলাতক রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভাড়াটিয়াদের অভিযোগ তারা স্বামী -স্ত্রী নিজেরা নিজেরাই ঝগড়া করে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেছে।
কোনাবাড়ি মর্ডান ফায়ারসার্ভিস এর লিডার আশরাফ বলেন,খবর পেয়ে দুইটি ইউনিট ঘটনা স্থলে যাই। স্থানীয়দের সহয়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তিনি আরো বলেন,এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।
Copyright © 2025 কলমের বার্তা. All rights reserved.