বরগুনা তালতলীর “শুভ সন্ধ্যা” সমুদ্র সৈকতের ঝাউববরগুনার তালতলী উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র “শুভ সন্ধ্যা” নামক স্থানে দুই বন্ধু হিরু (২২) এবং শুভ (২১) মিলে কিশোরী(১৪) কিশোরী (১৪) কে ধর্ষণ এবং স্থানীয় মানুষের কাছে আটক অতঃপর হিরু এক ধর্ষিতার বিয়ের অভিযোগে পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি “শুভ সন্ধ্যা” নামক স্থানের চার দিকে ছড়িয়ে পড়লেও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী প্রশাসনের দৃষ্টির আড়ালেই রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
ধর্ষনের বিষয়টি আইনী কঠোরতা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী র সহযোগিতায় হিরু পিতা মালেক এবং কিশোরীর বিবাহ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তালতলীর লাউপাড়া সাগর সৈকত মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলীর বক্তব্য অনুযায়ী কিশোরী ও কিশোরী এ বছর দশম শ্রেনীর ছাত্রী তারা। দশম শ্রেণীর ছাত্রী কিশোরী (১৪) পিতা সৌদি প্রবাসী মোঃ ফারুক এবং কিশোরী (১৪) পিতা মোঃ জহিরুলকে মোঃ আক্কাস ফরাজীর ছেলে (রাব্বি ফরাজী) এবং মোঃ মালেক আকন (কোম্পানির) ছেলে হিরু দীর্ঘদিন প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকা দুই বন্ধু বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১২ ই জানুয়ারি শুভ সন্ধায় ঝাউবনের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। কিশোরী বলেন এর আগেও রাব্বি ফরাজীর মোবাইল আমার ছবি অন্যের ছবি এ্যড করে ব্লাকমেইল করে ফেইসবুকে আপলোড করে ভাইরাল করার কথা বলে বিভিন্নস্থানে আমাকে ঘুড়তে নিয়ে যেত আমি ভয়ে সব কিছুই সয্য করতাম।
এদিকে কিশোরীর দরিদ্রতার কারনে আক্কাস ফরাজী এলাকার মানুষের চাপ থাকলেও নিজের ছেলের জন্য মেনে নিতে পারছেনা। বার বার বিবাহের স্থান চেইঞ্জ করছেন। আবার কেহ কেহ বলছেন গনমাধ্যম কর্মীর টের পেয়ে বাল্য বিবাহের বৈঠকে বসাতে পারছেন না।
আক্কাস ফরাজীর চাচাত ভাই বলেন বিবাহের সব কিছুই রাব্বি ফরাজীর মামা তালতলী কলেজের প্রভাষক গুছিয়ে রাখছেন। যে কোন মূহুর্তে ঘটে যেতে পারে ধর্ষণের পরে বাংলার বিবাহের দ্বিতীয় ঘটনাটি।
এদিকে অত্র এলাকার মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে কারন সৌদি প্রবাসী ফারুকের স্ত্রী পারভীন বেগম অত্যন্ত মামলাবাজ মহিলা, কেহ এই ঘটনার প্রতিবাদে করলে তার বিরুদ্ধে নেমে আসতে পারে থানা কোর্টের ঝামেলা।
গনমাধ্যম কর্মীর সাথে কথা বলতে নারাজ চারটি পরিবারের পারভীন বেগম বলেন আমি মাঝখানে দাড়িয়ে আছি কারো সাথে কথা বলার নিষেধ আছে।রাব্বি ফরাজীর বাবা আক্কাস ফরাজী মোবাইলে কথা বললেও পরবর্তীতে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন এটা আমার বাবার মোবাইল সে অন্যের বাড়ীতে কাজে গিয়েছে।
সোনাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, আমার কাছে এ ব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি তবে এ ধরনের ঘটনা হয়েছে আমি মৌখিকভাবে শুনতে পেয়েছি। আমি সবসময়ই বাল্যবিবাহের বিপক্ষে ছিলাম এখনো আছি।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ নাই অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।