এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ব- বিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে এক স্মরণসভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।
এ স্মরণসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বশেমুরকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম
আফ্রাদ।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার শহিদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের বড় বোন তানিয়া আকতার এবং একই উপজেলার শহিদ ইলিম শিকদারের বাবা বেলায়েত হোসেন ও স্ত্রী সোনিয়া।
প্রফেসর ড.মোহাম্মদ সাইফুল আলম, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) এর সভাপতিত্বে এবং প্রফেসর ড. ফারহানা ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন বশেমুরকৃবির সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র আল কুরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতা থেকে গীতা পাঠ করা হয়। পরে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য
বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া ঘটনাপ্রবাহের স্মৃতি চারণ করেন বশেমুরকৃবির রেজিস্ট্রার মোঃ আবদুল্লাহ মৃধা, প্রফেসর ড. আবু আশরাফ খান, প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম রসুল, প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দীন মিয়া এবং চার জন শিক্ষার্থী। স্মৃতি চারণের পরে শহিদ দুই পরিবারের হাতে বশেমুরকৃবির পক্ষ থেকে আর্থিক সম্মাননা তুলে দেন উপাচার্য ও ট্রেজারার।
এসময় জুলাই-আগস্টে বীর শহিদদের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত স্মরণসভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, আজকের নতুন এ বাংলাদেশ যাঁদের মহান আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে তাঁদের আমরা বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। শহিদদের এ বীরত্বগাঁথা ইতিহাসের চেতনা ধারণ করে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণই হবে আমাদের অঙ্গীকার। কোন অপশক্তি যাতে শহিদ ও আহতদের সম্মানকে ভূলুণ্ঠিত করতে না পারে সেদিকেও ছাত্র-সমাজসহ সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান উপাচার্য।
আন্দোলনে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনার পাশাপাশি উপাচার্য তাঁদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানান। স্মরণসভার আলোচনা শেষে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা আয়োজিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা জুলাই-আগস্টে শহিদদের সাথে ঘটনার আদলে গান, কবিতা আবৃত্তি ও অভিনয় মঞ্চস্থ করে দেখান।