এক মাসের বেশি সময় আগে বঙ্গোপসাগর থেকে আটক ছয় বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমার। বুধবার বিকালে টেকনাফ ২ বিজিবি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার।
এই ছয় জেলে হলেন টেকনাফের নোয়াখালীপাড়ার আব্দুস ছোবাহানের ছেলে আব্দুর রহমান, জাফর আহমদের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ, নুর আহমদের ছেলে হামিদ উল্লাহ, মিঠাপানির ছড়ার হোছন আলীর ছেলে মুহাম্মদ তৈয়ুব, মোহাম্মদ ছফরের ছেলে আব্দুর রশিদ ও আবু তালেবের ছেলে মোহাম্মদ মামুন।
শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, পহেলা ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশি ছয় জন জেলে ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে সমুদ্রে মাছ ধরতে যান। নৌকার ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেলে তারা মিয়ানমারের সমুদ্র উপকূলে চলে যান। পরবর্তীতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) তাদের আটক করে কারাগারে পাঠায়।
ফিরে আসা জেলেদের একজন, যার করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আটকের বিষয়টি ছয় জেলের পরিবার লিখিতভাবে বিজিবিকে জানালে আমরা বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তৎপরতা শুরু করি। পরবর্তীতে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মাধ্যমেও চেষ্টা অব্যাহত থাকে। তারপরই বিজিপি আমাদের জানায় যে তারা ৬ জেলেকে হস্তান্তর করবে।”
সব প্রক্রিয়া শেষে বুধবার দুপুরে নাফনদী পয়েন্ট দিয়ে তারা ছয় জেলেকে হস্তান্তর করেছে; পরে তাদের টেকনাফে ফেরত আনা হয়, বলেন ইফতেখার। তিনি আরও জানান, এই জেলেদের টেকনাফ মডেল থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হচ্ছে। পরে থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এর মধ্যে কেফায়েত উল্লাহ নামে এক জেলের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে; তাকে আলাদাভাবে রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।