যুক্তরাজ্যের সঙ্গে প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা সংলাপে বসছে বাংলাদেশ। আজ ঢাকায় ওই সংলাপ শুরু হচ্ছে। দেড় দিনের ওই সংলাপে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে ঢাকা। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের তরফে যৌথ প্রশিক্ষণ, নিরাপত্তা সহযোগিতা, সাইবার নিরাপত্তা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো আসতে পারে বলে জানা গেছে। এছাড়া বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা বাড়ানো, বাংলাদেশের আরও বেশি নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ এবং বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ
ও উগ্রবাদ দমনে ঢাকা ও লন্ডনের মধ্যকার বিদ্যমান সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে কথা হবে। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সংলাপের পর এ নিয়ে পৃথক বা যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে।
জানা গেছে, সংলাপে তিনটি ধাপে আলোচনা হবে। প্রথমত, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি। তাতে অন্যতম আগ্রহের বিষয় ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। দ্বিতীয়ত, দুই দেশের সামরিক খাতে সহযোগিতা। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রশিক্ষণ সহযোগিতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে যুক্তরাজ্যের যে অবদান
তা নিয়ে সেখানে কথা হতে পারে। বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য থেকে সংগ্রহ করা বেশকিছু সামরিক সরঞ্জামাদি ব্যবহার করছে। এ সপ্তাহে যুক্তরাজ্যেও সি-১৩০ সামরিক পরিবহন বিমান আসছে, যেটি বাংলাদেশ কিনেছিল। সামরিক ক্রয় খাত নিয়ে সংলাপে কথা হতে পারে। ইউরোপের দেশটি ইউরো ফাইটার, যুদ্ধজাহাজ, সি-১৩০ পরিবহন উড়োজাহাজসহ অন্যান্য সামগ্রী বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে আগ্রহী। এ নিয়ে প্রতিরক্ষা সংলাপে কথা হতে পারে।
এর আগে গত বছরের ২৭ অক্টোবর ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত রবার্ট ডিকসন মন্তব্য করেছিলেন তার দেশ থেকে নিরাপত্তাসামগ্রী ক্রয় করা হলে দুই দেশের বন্ধন আরও দীর্ঘ ও দৃঢ় হবে। ইউরোপের দেশটি ইউরো ফাইটার, যুদ্ধজাহাজ, সি-১৩০ পরিবহন উড়োজাহাজসহ অন্যান্য সামগ্রী বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে আগ্রহী।
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রতিরক্ষাসামগ্রী সংগ্রহের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় সহযোগিতা আছে। আমি এখানে থাকাকালীন আমরা পাঁচটি সি-১৩০ পরিবহন উড়োজাহাজ বাংলাদেশ এয়ারফোর্সকে সরবরাহ করেছি। এটি একটি সফল লেনদেন। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল নেভির সার্ভে জাহাজ এখন বিএনএস অনুসন্ধান হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি প্রথা যুক্তরাজ্য থেকে যুদ্ধজাহাজ ক্রয় করা। এটি চলমান থাকুক এ বিষয়ে আমরা অত্যন্ত আগ্রহী। আমাদের সমুদ্র সক্ষমতা অনেক বেশি এবং আমরা চাই বাংলাদেশ আমাদের কাছ থেকে নিরাপত্তাসামগ্রী ক্রয় করুক। কারণ, আমরা ভালো জিনিস বানাই এবং দামেও সুলভ বলে তিনি জানান।