শরতের কাশফুল আর শিশির ভেজা ভোর জানান দিচ্ছে শারদীয় দুর্গাৎসবের আগমনী বার্তা।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ বড় এ উৎসবকে ঘিরে পটুয়াখালীর বাউফলে প্রতিমা তৈরির কারিগরেরা ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।
মৃৎ শিল্পীদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় প্রতিমা গুলো হয়ে উঠছে অপরূপ । খড় আর কাঁদামাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে এখন।
চলছে প্রলেপ ও সঙ্গে রংগের কাজ।একই সঙ্গে শরতের দুর্গাৎসবকে পরিপূর্ণ ভাবে সাজাতে দিন রাত মন্দির গুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ।বাউফলের পূজামন্ডপ গুলোতে দেখা গেছে। কাদা-মাটি, বাঁশ, খড়, সুতা দিয়ে শিল্পীর ছোয়ায় তিলতিল করে গড়ে তোলা হচ্ছে দুর্গা প্রতিমা। কারিগরেরা প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। নিপুণ হাতের তৈরি হচ্ছে দেবীদুর্গা, গণেশ, লক্ষী , সরস্বতী, কার্তিক,অসুর সহ বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা।মহাষষ্ঠী তিথিতে মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গা পূজা।
পরেরদিন সপ্তমী তিথিতে পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল আয়োজন। আগামী ২০ অক্টাবর ২০২৩( কার্তিক ১৪৩০) তারিখ শারদীয়া দুর্গা পূজা শুরু হয়ে ২৪ অক্টোবর বিজয় দশমীর মধ্য দিয় দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দেয়া হবে।
মৃৎ শিল্পীরা জানান, প্রতিবছরেই তারা অধীর আগ্রহে দেবীদুর্গার প্রতিমা তৈরির কাজের অপেক্ষায় থাকেন।শুধু জীবিকার জন্যই নয়। দেবীদুর্গার প্রতিমা তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাদের ধর্মীয় অনুভূতি,ভক্তি আর ভালোবাসা। শারদীয় দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে বাউফলে১৫ টি ইউনিয়ান ও ১ টি পৌরসভায় মোট ৭৩ টি পূজা মন্ডবে প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। তার মধ্যে ৬২ টি প্রতিমা ও ১১ টি ঘট পূজা তৈরি করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে পূজা মন্ডপ গুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। বাউফল উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু সনজিৎ সাহা বলেন,শারদীয় দূর্গা পূজার প্রতিমা তৈরি প্রায় শেষ পর্যায়, আলোকসজ্জা সহ যাবতীয় কাজ খুব দ্রুত শেষ হওয়ার পথে।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ এটিএম আরিচুল হক বলেন, সকল ধরনের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের চৌখস দল নিয়োজিত থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী বলেন, দুর্গা উৎসব সার্বজনিন ভাবে পালনের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।