সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক নাসিম রেজা নুর দিপুকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ১০ জনকে। শুক্রবার রাতে আহত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিম রেজা নুর দিপু’র বড় ভাই রাকিবুল হাসান বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার হলো- সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া মুন্সি, তার বাবা জামাত আলি মুন্সি, বড় ভাই মতিন মুন্সি, ছোটভাই রেজা মুন্সি ও জাহিদ মুন্সি। অন্যদিকে হামলাকারী বিএনপি-জামাত পরিবারের সদস্য নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মুন্সীসহ তার সন্ত্রাসী ভাইদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে আওয়ামীলীগসহ সর্বস্তরের জনগন।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ৫ জানুয়ারি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক নাসিম রেজা নুর দিপুকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সদর উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারন ব্যানারে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে পালিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে হামলার মামলার মুল আসামি নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সিসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে। বক্তারা বলেন, এক শীর্ষ পদধারী যুবলীগ নেতা ও কতিপয় আওয়ামীলীগ নেতারা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জিয়া মুনসী মদদ দেয়ায় সে বেপরোয়া হয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। বক্তারা ওই যুবলীগ পদধারী নেতার বহিস্কারেও দাবী করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫জানুয়ারি সন্ধা রাতে কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার আগেই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিম রেজা নুর দিপুর উপরে হামলা চালায় নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সি ও তার সমর্থকরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।