মোঃ আব্দুল আজিজ, স্টাফ রিপোর্টার :পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ব্রাক এনজিওর মাইক্রোফাইনেন্স প্রগতির পিও আরফিন রতিয়া ও এরিয়া ম্যানেজার প্রনব কুমার তরফদারের যোগসাজশে গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করার অভেিযাগ উঠেছে।
অভিযোগকারী মোঃ মনিরুল ইসলাম বকুল পৌর সদরের চৌবারিয়া দক্ষিণ পাড়া মহল্লার মৃত গোলাম কিবরিয়ার ছেলে। তিনি লিখিত ভাবে জানান, ব্র্যাক এনজওির মাইক্রোফাইনেন্স প্রগতি থেকে ০৭/০৮/২০২২ ইং তারিখে ১৫ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করে।যাহা ১লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হিসাবে ১২টি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। তিনি তা যথা সময়ে পরিশোধ করে আসছিলেন। ঋণের ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বাকি থাকতেই পিও আফরিন রতিয়া গ্রাহক মনিরুলকে ঋণ শোধ করে পুনরায় ঋণ নিতে বলেন। আফরিন রতিয়ার কথামত গত ০৯/০৮/২০২৩ইং তারিখে আনুমানিক ৩টার দিকে ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে অফিসে যায় তখন এরিয়া ম্যানেজার প্রনব কুমার তরফদার
মনিরুলকে ডেকে তার রুমে বসায়, মনিরুল অফিসের একাউন্সে টাকা জমা করার কথা বললে এরিয়া ম্যানেজার প্রনব কুমার তরফদার বলে আফরিন রতিয়া আসুক তারপর টাকা জমা করেন, আফরিন রতিয়া এসে তার হাতে টাকা গুলো গ্রহন করে এবং একাউন্সে যাওয়া লাগবে না আমি দিয়ে দিব। টাকা গুলো দেওয়ার সময় ব্রাক এনজিওর আর এমওর সঙ্গে মনিরুলের ফোন নম্বর দিয়ে আফরিন রতিয়া কথা বলে টাকা গ্রহণ করেন। যাহা কল লিস্ট তুললেই পাওয়া যাবে।আফরিন রতিয়া ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে মনিরুলের পাশ বইতে ২ লক্ষ ৪০ হাজার জমা করেন,আর বাকি ৮০ হাজার টাকা নিজে আত্মসাৎ করেন।ভুক্তভোগী মনিরুল আরো জানায় যে তিনি আজ থেকে ১৫ বছর আগে এই ব্রাক এনজিও থেকে ঋণ নেন এবং ঠিক সময়ে তা পরিশোধ করে দেন। এবিষয়ে মনিরুল আর এমওর কাছে ঋণ নেওয়ার জন্য গেলে ঋণের ফাইল দেখে বলে আপনার আরো ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা বাকি আছে তখন মনিরুল বলে আমার কোন টাকা নাই।আর এমওর বলে আগে বাকি টাকা টা জমা করেন ওটা পড়ে দেখবো। মনিরুল ঐ ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকাও জমা করে দেন।এর পর থেকে শুরু হয় তালবাহানা ।তিনি আমাকে বিভিন্ন উপায় বলে এটা হেড অফিসের দ্বায়িত্ব তাই আপনার ঋণ হেড অফিস পাস করিয়ে দেবে।ভুক্তভোগী মনিরুল অনেক কষ্ট করে লোকজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে এনজিওতে জমা দিলেও তার ঋণের কোন দেখা মেলেনি এ ব্যাপারে পিও আফরিন রতিয়ার কাছে জানতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে চেঁচামেচি করে উচ্চশ্বরে কথা বলেন ।
ঘটনা সম্পর্কে আর এমও পাবনার ০১৭১২৫৬৭২৯৭
নম্বরে একাধিকবার ফোন করলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে ব্রাকের বি ভি সি অফিসার শরিফুল ইসলাম পাবনাকে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি বিষয়টি অবগত নই। ভাঙ্গুড়া শাখার পাবনাকে সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।