ভাঙ্গুড়ায় এক বছর আগে বিয়ে হলোও ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্ব স্বপ্না নামের(২৭) স্ত্রীর মর্যাদা পেতে ছোটনের বাড়িতে দুই দিন ধরে অনশন করছেন। এদিকে ওই মেয়ে বাড়িতে আসার খবর পেয়েই নিজ বাড়ি থেকে পালিয়েছেন তার স্বামী ছোটন নামের ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার(২৮সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের রুপসী পশ্চিম পাড়া এলাকার হাসিনুর রহমান ছোটনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটছে। ছোটন ওই এলাকার মৃত জিলিমের ছেলে। ওই মেয়েকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলতে না নিলে তার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো পথ নেই বলে সাফ জানিয়েছেন সংবাদ কর্মী ও এলাকাবাসীকে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,প্রায় বছর দুই আগে উত্তর কলকতি এলাকার জনৈক ব্যক্তির কন্যা স্বপ্না ভাঙ্গুড়া হেলথ কেয়ারে নার্সিং হিসাবে কাজ করার সময় রুপসী এলাকার ছোটনের মায়ের চিকিৎসা করার সময় তার সাথে পরিচয় ঘটে। সেই সূত্র ধরে মোবাইল ফোনে মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্র ধরে প্রায় বছর খানেক পূর্বে ছোটনের অনুমতিতে তাদের দুজনের বিবাহ হয়। স্বপ্না নামের ওই মেয়ের দাবী, প্রায় বছর খানেক আগে তাদের প্রেমের পরিণয়ে দুজনের বিবাহ হয়েছিল গোপনে এরপর তারা বিভিন্ন স্থানে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একত্রিত সময় কাটিয়েছেন। তাদের বিবাহের পর ঢাকায় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন নার্সিংয়ের চাকুরী করে ওই মেয়ে প্রতিমাসে তার ছোটন নামের স্বামীকে টাকা-পয়সা দিয়ে আসছেন। কিন্তু গত মাস দুয়েক হলো স্বামী ছোটন তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তার আগে কৌশলে বিবাহ সংক্রান্ত কাগজপত্র তিনি লুকিয়ে ফেলেন। আবার তিনি সম্প্রতি অন্য একটি মেয়েকে বিবাহ করছেন মর্মে খবর পেয়ে স্বামীর বাড়িতে হাজির হয়েছেন। এমন খবর পেয়ে স্থানীয় শতশত উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভীড় করছেন। এ সময় ওই মেয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর অনেক অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিও দেখান গণমাধ্যম কর্মী ও স্থানীয়দের।
অন্যদিকে এরই মধ্যে তার স্বামী ছোটন নামের ব্যক্তি পলাতক থাকায় তার বাড়ির স্বজনরা জানান, প্রায় পনেরো দিন হলো ছোটন অন্য এক মেয়েকে বিবাহ করেছেন। শুক্রবারে নতুন বধূকে নিজ বাড়িতে তুলে আনবেন। তাই বাড়িতে গান,বাজনা আনন্দ উৎসব চলছে। বিবাহে দায়াতের লোকজন আসবে তাদের খাওয়ানোর জন্য একটি গরু কেনা হয়েছে। কিন্ত হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যারদিকে ওই মেয়ে এসে হাজির। এখন দেখা যাক কি করা যায়। তবে স্বামী ছোটন পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।
ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এলাকার লোক মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছোটনের বাড়িতে ওই মেয়ে অনশনে বসে থাকতে তিনিসহ শতশত লোক দেখেছেন।
এ ব্যপারে অষ্টমনিষা ইউপি চেয়ারম্যান সুলতানা জাহান বকুল বলেন, বিষয়টি তিনি একাধিক লোক মুখে শুনে ঘটনা স্থলে গিয়ে ওই মেয়েকে ছোটনের বাড়িতে বসে থাকতে দেখেছেন। ওই মেয়েকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলতে না দিলে তিনি আত্মহত্যার করবেন। স্থানীয়ভাবে বিষয়টা মীমাংসার চেষ্টা চলছে ।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।