মোঃ বুলবুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজধানীর গেন্ডারিয়া কার্যালয়ের ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ভেসে উঠল ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু লেখা। আবার ”আওয়ামী লীগ ফেরত চাই -জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” লেখাও ডিসপ্লেতে প্রদর্শন করা হয়েছে।
পথচারীরা দেখতে পেয়ে উৎসুক হয়ে ভিড় জমান অফিস চত্বরে। এনিয়ে এলাকা জুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
রোববার মধ্যরাতে গেন্ডারিয়া কাঠেরপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রাতে গেন্ডরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রাতেই পুলিশ একটি সাধারন ডায়েরি করে। এই কার্যালয়ের দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক শওকত ইসলাম।
গত ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন স্কুল কলেজ, মসজিদের ডিসপ্লেতে এই ঘটনা ঘটে। এবার মাদক দ্রব্য অধিদপ্তর গেন্ডারিয়া অফিসের ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ভেসে উঠল ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু লেখা।
তদন্ত শেষে মূল রহস্য উদঘাটন হবে বলে জানান গেন্ডারিয়া থানার ওসি।
সংস্থার এই কার্যালয়ের দায়িত্বে অতিরিক্ত পরিচালক একেএম শওকত ইসলাম, যিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর শাখার সহ- সভাপতি ছিলেন। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের সময় তিনি ময়মনসিংহ কার্যালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীতে প্রশাসনের অস্থির মুহূর্তে একেএম শওকত ইসলাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের নিকট ডিজিএফআই এর এক কর্মকর্তার নামে ভূয়া ফোন কলে সুপারিশ করে ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক হিসাবে প্রাইজ পোস্টিং লাভ করেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে পতিত আওয়ামী সরকারের আস্থাভাজন এই কর্মকর্তা মাদক সিন্ডিকেটের সংগে গভীর ভাবে সংযুক্ত এবং আরও বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তদন্ত চলমান।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক একেএম শওকত ইসলামের সাথে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
সংস্থার মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এই ঘটনায় আজই একটা তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে। তারাই এ বিষয়ে তদন্ত করে কারন জানাবেন।
মোস্তাফিজুর রহমান বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে ২০২৪ সালের ২৭ মে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। তার আগে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও তিনি হাসিনা সরকারের আমলে দুই জেলার ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএনসির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডিজি মহোদয় এবং একেএম শওকত ইসলামের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক বিদ্যমান।
অভিযোগ রয়েছে, এই অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখায় এখনও বিগত সরকারের মতাদর্শের লোক রয়েছে। তাদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।