মাদার অফ ডেমোক্রেসি উপাধিতে ভূষিত হওয়ায় – শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন , তরুণ সমাজসেবক ও জিয়ার সৈনিক, মাহমুদ কলি জুয়েল।
আড়াই মাসেরও বেশি সময় বসুন্ধরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে গত (০১ ফেব্রুয়ারি) গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এমতাবস্থায় গণতন্ত্রের প্রতি অসামান্য অবদানের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা দিয়েছেন কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও)।
আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ২০২২ ইং দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে কানাডার এই প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া ক্রেস্ট ও সনদপত্র সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সোমবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত এই সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে আপনাদেরকে জানাতে চাই, কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গাইনাইজেশন (সিএইচআরআইও) খালেদা জিয়ার গণতন্ত্রের প্রতি অসামান্য অবদান এবং তিনি যে এখনও গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্যে কারাবরণ করছেন, অসুস্থাবস্থায় গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন, এসব কারণে এই প্রতিষ্ঠানটি দেশনেত্রীকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। ‘কানাডিয়ান হাই কমিশনও এখানে এটাকে অ্যাড্রেস করেছে’ বলেও জানান ফখরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে সোহওয়ার্দী উদ্যানে এক জনসভায় তাঁর উপস্থিতিতে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ উপাধি দিয়েছিলেন দলটির উল্লেখ যোগ্য নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের (৮ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সাজা নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। দুই বছর কারাবাসের পর করোনা মহামারি প্রাক্বালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের বিশেষ বিবেচনায় শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পান। এরপর থেকে তিনি গুলশানের বাসায় আছেন।