• বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বারি’তে তরমুজের ঢলেপড়া ও কাণ্ড ঝলসে যাওয়া রোগের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা শীর্ষক কর্মশালা   উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসায় ককটেল বিস্ফোরণ  বেতাগী উপজেলার সেরা স্বেচ্ছাসেবক খাইরুল ইসলাম মুন্না বেতাগীতে যুব ফোরাম’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন স্বপ্নসারথি দলের জীবন দক্ষতা উন্নয়ন সেশন ও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ  অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার এওয়ার্ড পেলেন বরিশালের কিশোর বালা দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিয়েটিভ আর্টস এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত সিরাজগঞ্জের মোঃ অধ্যক্ষ শরীফুল ইসলাম বিদায় বেলায় ভাঙ্গুড়ার ইউএনওকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন সাধারণ মানুষ রায়গঞ্জে সভাপতি ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অনুপস্থিত পাতানো নিয়োগ বাস্তবায়ন করল ডিজির প্রতিনিধি তিন বখাটের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ  বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে যুবকের আত্মহত্যা কুড়িগ্রামে উদ্দীপনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত ভূট্টা বোঝাই ট্রাক সহ ড্রাইভার উধাও ১১ দিন পর ঢাকায় আটক জয়পুরের হত্যা মামলার ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ কুড়িগ্রামে কিশোরী ও শিশুদের মাঝে স্যানিটারী ন্যাপকিন ও টিউবওয়েলসহ বিভিন্ন সামগ্রী  বিতরণ  ঠাকুরগাঁওয়ে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত নিখোঁজের তিন দিন পর পুকুরে ভেসে উঠল শিশুর মরদেহ বেড়ায় একতা বন্ধু উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের বর্ণাঢ্য র‍্যালী অবরোধের সমর্থনে কোনাবাড়ীতে বিএনপির মশাল মিছিল 

মাসুদ পারভেজ, স্টাফ রিপোর্টার :

মির্জাপুরে ধর্ষণের পর তরুণী ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

কলমের বার্তা / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০২২

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বংশীনগর পশ্চিম পাড়া (কাইতলা হাটের পূর্ব পাশে) গ্রামে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২০ বছরের তরুণী।ধর্ষণের পর মেয়েটি এখন ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত একই গ্রামের মৃত ফটু মিয়ার ছেলে জলিল মিয়া (৫৫)।জলিল মিয়ার পরিবারের সাথে ভুক্তভোগীর পরিবারের দীর্ঘদিন ধরেই ভাল সম্পর্ক চলে আসছে।সম্পর্কে জলিল মিয়া ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর দুঃসম্পর্কের নানা লাগে।দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল দুই পরিবারের মধ্যে মেলবন্ধন।নিয়মিত চলছিল আসা যাওয়া।অভাব অনটনের কারনে ভুক্তভোগীর পরিবার মাঝে মধ্যেই অভিযুক্ত জলিল মিয়ার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে চলত।বরাবরের মত চার মাস আগে অভিযুক্ত জলিল মিয়ার দোকানে একা কেনাকাটা করতে যায় ওই তরুণী।সেই সুযোগে মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে জলিল মিয়া ওই তরুণীকে একই বিল্ডিংয়ের উপরের ঘরে নেয় এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কারো কাছে বলে দিলে বাপ-ভাই ও পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় জলিল ও তার পরিবার।এমনটাই অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী।

জলিল মিয়ার ধর্ষণের শিকারে এখন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা তরুণী। ঘটনাটি জানাজানি হলে সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা করলেও কোন সুরাহা হয়নি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তরুণীর বড় ভাই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তরুণীর বড় ভাই।

কথা হয় একই এলাকার ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেনের সাথে। দেলোয়ার হোসেন জলিলের আপন ভাইরার ছেলে। দেলোয়ারকে বিয়ে করিয়ে তাদের উকিল বাবাও হয় এই জলিল মিয়া। একপর্যায়ে উকিল মেয়ের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় জলিল।

দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, দু’জন সন্তান রেখে ছয় বছর আগে জলিল তার স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হয়। সে সময় দেলোয়ার থানায় একটি ডায়েরিও করেন। জলিল এলাকায় ফিরলেও তার স্ত্রী এখনো নিরুদ্দেশ, জলিল কী তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে না মেরে ফেলেছে তাও জানেনা এই দেলোয়ার।

শোনা যায়, গেল কয়েক বছর আগেও জলিল দিনমজুরের কাজ করত। বাঁশ দিয়ে টালাইয়ের কাজ করে সংসার চালালেও রাতারাতি সে বিলাসবহুল বাড়ি ও কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেল কিভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি এলাকাবাসীর।

নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক ব্যাক্তি বলেন,জলিল তার টাকার গরমে মানুষকে মানুষ মনে করে না।তারা আরো বলেন, জলিল এর আগেও অনেক নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকলেও টাকার গরমে তা মীমাংসা করে ফেলে।

সরেজমিনে গেলে জানা যায়, অভিযুক্ত জলিল মিয়ার প্রতি স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারাও এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বলেন,এরকম ঘটনা যেন আর কেউ না ঘটাতে পারে।

এ বিষয়ে একাধিকবার জলিলের বাড়িতে গেলেও তার সাথে কথা বলা যায়নি। কৌশলে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এটা মিথ্যে বানোয়াট। তাদের কাছে টাকা পাওনা থাকায় তা যেন না দিতে হয় এজন্য তারা এ পায়তারা চালাচ্ছে। তবে জলিল সম্পর্কে তার মেয়ে কল্পনার সাথে কথা বললে সে নিউজ না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন এবং আইনে যা হবার তা হবে বলে জানান।সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, জলিল মিয়া এখন পলাতক রয়েছেন।

ভুক্তভোগীর পরিবার এর সঠিক বিচারের প্রত্যাশায় টাঙ্গাইল জজ কোর্টে মামলা করেছেন বলে জানান ওই তরুণীর বাবা।ভুক্তভোগীর বাবা কান্নাকাটি করে সাংবাদিকদের বলেন,আমি গরীব,অসহায় একজন বাবা।আমি বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমার মেয়েকে মেডিকেলে পরীক্ষা করাই এবং নিশ্চিত হই।আমার মেয়ের বয়স ১৫ বছর হলেও ওই মেডিকেল পরীক্ষায় মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ২০ বছর উল্লেখ করেন। আমার মেয়ের বিয়ে হয়নি, তার আগেই এমন সর্বনাশ করল ওই জলিল।আমি বাবা হয়ে কেমনে এটা সহ্য করুম।আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন দেওয়ান বলেন,আমার কাছে মেয়ের বাবা আসছিল।আমি বলেছি আপনারা আইনের সহযোগিতা নিন।

79
Spread the love


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর