প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন (এলডিডিপি) প্রকল্পের আওতায় পাবনার বেড়া উপজেলায় ছয়জন দুগ্ধ খামারিকে বিনামূল্যে মিল্ক ক্রিম সেপারেটর মেশিন দেওয়া হয়েছে প্রায় এক বছর আগে। খামারি ছয়জন এই মেশিনের সাহায্যে দুধ থেকে মিল্ক ক্রিম আলাদা করে তৈরি করছে ঘি ও ছানা। এসব পণ্য বাজারজাত করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন তাঁরা। বেড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো.মিজানুর রহমান বলেন, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বেড়া পৌর এলাকার সানিলা গ্রামের মো.দুলাল, হাটুরিয়া -নাকালিয়া ইউনিয়নের মালদাহ পাড়া গ্রামের অসীম ঘোষ, ঈশ্বর চন্দ্র ঘোষ,নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের রাকসা গ্রামের নিমাই ঘোষ,পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের নৃত্য গোপাল ঘোষ, জাতসাখিনী ইউনিয়নের নয়াবাড়ি গ্রামের কৃষ্ণ পদ ঘোষ এই ছয়জন দুগ্ধ খামারিকে প্রাথমিকভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে ব্যবসা করার জন্য মিল্ক ক্রিম সেপারেটর মেশিন এক বছর আগে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সুবিধাভোগী ছয়জন দুগ্ধ খামারি এ মেশিন দিয়ে দুধ থেকে মিল্ক ক্রিম আলাদা করে ঘি ও ছানা তৈরি করে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে এসব পণ্য বাজারজাত করে এক বছরে তাঁরা আর্থিক ভাবে সচ্ছল হয়ে উঠেছেন। এ বিষয়ে সুবিধাভোগী নিমাই ঘোষ বলেন, এই মেশিন পেয়ে ঘি ও ছানা তৈরি করে স্থানীয় হাট- বাজার এবং রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন শহরে বিক্রি করে আমি আর্থিক ভাবে অনেকটা স্বাবলম্বী হয়েছি।মেশিনটি পেয়েছি প্রায় এক বছর ধরে। এটি পাওয়ার আগে আমি আর্থিকভাবে এতটা সচ্ছল ছিলাম না। আরেক সুবিধাভোগী নৃত্য গোপাল ঘোষ বলেন, এই মেশিন কেনার সামর্থ্য আমার ছিলো না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণিসম্পদ অফিসের মাধ্যমে আমার মতো অসচ্ছল দুগ্ধ খামারিকে এত দামের মেশিন বিনামূল্যে দেওয়ায় অনেক উপকার হয়েছে। এই মেশিন পেয়ে খুব সহজে ঘি ও ছানা তৈরি করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে স্বাচ্ছন্দে দিন কাটাচ্ছি।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।