লালমনিরহাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাচ্চু শিকদার (৭২) এর জানাযায় রাষ্ট্রীয় সম্মান জানাতে ইউএনও ৩০ মিনিট পর উপস্থিত হওয়ায় চরমক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী । ইউএনও বিলম্বে আসার কারনে জানাযায় উপস্থিত হওয়া কয়েক হাজার মানুষ আধা ঘন্টা অপেক্ষা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় শহরের বাবুপাড়া ঈদগাহ মাঠে জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঈদগাহ মাঠে সকালে উপস্থিত হতে থাকেন মুসল্লিরা। তবে সঠিক সময়ে আসেননি ইউএনও। উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা একাধিকবার টেলিফোন করার পরও তিনি আধা ঘন্টা পর উপস্থিত হয়েছেন। এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জানাযায় অংশ নেয়া, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও মুসল্লিরা।
জানা গেছে, লালমনিরহাট শহরের টিউমলপাড়া রিফুজি কলোনি এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাচ্চু শিকদার বার্ধক্যজনিত কারনে বুধবার দুপুর ১২ টায় রংপুর মেডিকেলে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। পরে তার জানাযা বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার নির্ধারন করা হয়। আগে থেকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার জানাযা নামাজের সময় ইউএনও কে জানান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নেতৃবৃন্দ। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি অ্যাড. ইকবাল হোসেন মামুন বলেন, গতকাল ইউএনও মাহমুদা মাসুমকে জানাযার বিষয়টি অবগত করা হয়। আজ সকালে জানালে তিনি সঠিক সময়ে আসার কথা বললেও তিনি সঠিক সময়ে আসেননি।
সদর উপজেলার ইউএনও বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধার জানাযায় রাষ্ট্রীয় সম্মান জানাতে দেরিতে আসেন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার শেষ বিদায়ে গার্ড অব অনার প্রদান করা সরকারী দ্বায়িত্ব হলে এটি সদর উপজেলার ইউএও মাহমুদা মাসুমের দ্বায়িত্বে অবহেলা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। জানযায় অংশ নেয়া টিউমলপাড়া এলাকার মনির হোসেন বলেন, সদর উপজেলার বর্তমান ইউএনও দ্বায়িত্বের প্রতি অবহেলা করেছেন। তাকে চার বার ফোন দেওয়ার পর তিনি প্রায় আধাঘন্টা পর আসেন। এটি আমাদের জন্য লজ্জার।
এই দেশের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার শেষ বিদায়ে তিনি কয়েক হাজার মানুষকে অপেক্ষায় রেখে রাষ্ট্রীয় সন্মান জানাতে আসেন আধা ঘন্টা পর। আমি যতটুকু জানি তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জানাযায় বিলম্ব করে যান তাই এ বিষয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমি ইউএনও কে চার বার কল করেছি। তিনি আসি আসি করে কালক্ষেপন করেছেন। ইউএনও প্রায় আধা ঘন্টা পর এসেছেন। বিষয়টি আমাদের খারাপ লাগার এবং দুঃখজনক। রাষ্ট্রীয় সম্মান যেহেতু দিনেই দিতে হয় এজন্য জানাযা নামাজের সময় সকালে করা হয়েছে তা না হলে আমরা রাতেই জানাযা সম্পন্ন করতাম।
এ বিষয়ে ইউএনও মাহমুদা মাসুমের সাথে মুঠোফেনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করলে তিনি ফোন কেটে দেন।