বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১১:০৯ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের টিকাপ্রাপ্তিতে শীর্ষে বাংলাদেশ

কলমের বার্তা নিউজ ডেস্ক :
  • সময় কাল : মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি ১০ কোটি মানুষকে কমপক্ষে এক ডোজ টিকা দেয়ার মাইলফলক অতিক্রম করায় আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানাই। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জীবনরক্ষাকারী টিকা অনুদান অব্যাহত রাখবে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি নাগাদ এ দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে পুরো ডোজ টিকা দেয়ার লক্ষ্য পূরণে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে।’

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় উপহার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের আরও এক কোটি টিকা ঢাকা পৌঁছেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশকে দেয়া দেশটির মোট করোনা টিকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ১০ লাখ ডোজ। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্র ও জনগণের পক্ষ থেকে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এই টিকা উপহার দেয়া হয়েছে বলে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এই সহায়তার ফলে বাংলাদেশের যুব সমাজ, দুর্গম জনপদ ও নাজুক জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া সম্ভব হবে। ‘সম্প্রতি ১০ কোটি মানুষকে কমপক্ষে এক ডোজ টিকা দেয়ার মাইলফলক অতিক্রম করায় আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানাই। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জীবনরক্ষাকারী টিকা অনুদান অব্যাহত রাখবে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি নাগাদ এ দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে পুরো ডোজ টিকা দেয়ার লক্ষ্য পূরণে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘টিকা অনুদানের পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ৯ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকাদান ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ, টিকা মজুত ও পরিবহনে সহায়তা এবং শিক্ষার্থী ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে টিকাদানে দেশটি সহায়তা করছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি), যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স, ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট ও সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মাধ্যমে কোভিডসংক্রান্ত উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলারের বেশি অনুদান দিয়েছে।

এই সহায়তার আওতায় মানুষের জীবন বাঁচানো এবং কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া সহজ হয়েছে। একই সঙ্গে রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার সক্ষমতা ও পরিবীক্ষণ, আক্রান্তের ব্যবস্থাপনা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ চর্চা জোরদার হয়েছে। সরবরাহ ব্যবস্থা এবং দ্রব্যসামগ্রী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিও উন্নত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ফলে সম্মুখসারির কর্মীরা সুরক্ষা পেয়েছেন এবং সংক্রমণ থেকে কীভাবে নিজেদের আরও সুরক্ষিত রাখা যায় সে বিষয়ে জনসচেতনতা বেড়েছে।

বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স কার্যক্রমের আওতায় কোভিড-১৯ টিকার অতি-শীতলীকৃত মজুত, পরিবহন ও নিরাপদ ব্যবহারবিধি অনুসরণে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র চার বিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লা-ফেইভ বলেন, ‘ফাইজারের তৈরি টিকার সর্বশেষ এই অনুদানের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারত্ব ও বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ টিকা বেশি দেয়ায় আমেরিকার জনগণের উদারতার বিষয়টিই উঠে এসেছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এর মাধ্যমে নিরাপদে ও দক্ষতার সঙ্গে মানুষের কাছে টিকা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ সরকার ও টিকা কার্যক্রমের দ্রুত সম্প্রসারণে সম্পৃক্ত সব অংশীদারের কাজের প্রতিফলন ঘটেছে।’

4
Spread the love

নিউজটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরোও খবর
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি দণ্ডনীয় অপরাধ
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102