ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় কানুদাসকাঠী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগের তদন্ত শুরু। রাজাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোঃ জুলফিকার আলীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (১৬জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় সমাজকল্যান মন্ত্রণালয় যুগ্নসচিব মোহা. নায়েব আলী উপজেলার কানুদাস কাঠি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন।
অভিযোগকারীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের কানুদাসকাঠী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি ২০১৪ সালে এমপিওভুক্ত হয়। বিদ্যালয়টি ভূয়া ছাত্র—ছাত্রী এবং ভূয়া জমি দিয়ে কয়েক বছর যাবৎ সরকারি বেতন উত্তোলন করেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে এবং সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কতৃর্ক তদন্ত প্রতিবেদন ও সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কানুদাসকাঠী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক—কর্মচারীদের বেতন—ভাতা বিধি মোতাবেক স্থায়ীভাবে বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। আরো জানা যায়, ঐ বিদ্যালয়ে বিএসএড ট্রেনিং প্রাপ্ত কোন শিক্ষক নেই। তাই ২০১৯ এর নীতিমালায় ১৩(১১) ধারায় আছে ৩বছরের মধ্যে বিএসএড নিজস্ব উদ্যোগে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে এবং সরকারী স্বীকৃতি গ্রহন করতে হবে। অন্যথায় প্রাপ্ত সরকারী অনুদান,বেতন ভাতাদি স্থগিত থাকবে। তাই বন্ধকৃত বেতন নীতিমালা অনুযায়ী চালু করার কোন সুযোগ নেই। ঐ বিদ্যালয়টির বেতন ভাতা চালু করলে পুনরায় সরকারী টাকা আত্মসাৎ হবে বলে গন্য হবে। এই বিদ্যালয়টির বিশেষ শিক্ষা আইনের ২০১৯ এর ১৩(১১)২২(১)(ক)(খ) আইন অনুযায়ী বিদ্যালয়টিকে আজীবনের জন্য এমপিও বালিত করা অতীব প্রয়োজন।
এই বিষয়ে কানুদাসকাঠী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুরুজ্জামান বাবলু বলেন, বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষকের মনগড়া ইচ্ছে মত পরিচালনা হয়, আমাকে কোন বিষয়ে কোন কিছু জানায় না। বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ করা সহ অনেক প্রতিবন্ধীদের কাছ থেকে কার্ড দেওয়ার কথা বলে অনেক টাকা অত্মসাৎ করেছে এই মর্মে অনেক অভিযোগও রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে উর্ধতন কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আমি আশা করি।