• বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার এওয়ার্ড পেলেন বরিশালের কিশোর বালা দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিয়েটিভ আর্টস এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত সিরাজগঞ্জের মোঃ অধ্যক্ষ শরীফুল ইসলাম বিদায় বেলায় ভাঙ্গুড়ার ইউএনওকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন সাধারণ মানুষ রায়গঞ্জে সভাপতি ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অনুপস্থিত পাতানো নিয়োগ বাস্তবায়ন করল ডিজির প্রতিনিধি তিন বখাটের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ  বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে যুবকের আত্মহত্যা কুড়িগ্রামে উদ্দীপনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত ভূট্টা বোঝাই ট্রাক সহ ড্রাইভার উধাও ১১ দিন পর ঢাকায় আটক জয়পুরের হত্যা মামলার ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ কুড়িগ্রামে কিশোরী ও শিশুদের মাঝে স্যানিটারী ন্যাপকিন ও টিউবওয়েলসহ বিভিন্ন সামগ্রী  বিতরণ  ঠাকুরগাঁওয়ে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত নিখোঁজের তিন দিন পর পুকুরে ভেসে উঠল শিশুর মরদেহ বেড়ায় একতা বন্ধু উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের বর্ণাঢ্য র‍্যালী অবরোধের সমর্থনে কোনাবাড়ীতে বিএনপির মশাল মিছিল  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সিরাজগঞ্জে ৬ টি আসনে যাদের মনোনয়ন বৈধ সিরাজগঞ্জে  বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস  উপলক্ষ্যে র‍্যালি  প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বরগুনায় রেড ক্রিসেন্ট এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস পালিত গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা ভাঙ্গুড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

রিজার্ভ আবার ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

কলমের বার্তা / ১১২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ২২ মে, ২০২২

আমদানি ব্যয় হিসেবে গত ১০ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করায় রিজার্ভ কমে ৪১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছিল; সেদিনের স্থিতি ছিল ৪১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার।

রিজার্ভ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্য বলছে, আকুর দেনা পরিশোধ এবং আরও কিছু অর্থ লেনদেনের ছয় কার্য দিবস পরে রিজার্ভে যুক্ত হয় আরও ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার। এতে গত ১৬ মে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার।

রিজার্ভের এ পরিমাণ অর্থ দিয়ে বর্তমান আমদানির ধারা অনুযায়ী ছয় মাসের ব্যয় মেটানো যাবে। এর আগে গত ৩০ এপ্রিল রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৪ বিলিয়ন ডলার। আর দীর্ঘ সময় ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকা বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ২০২১ সালের অগাস্টে ৪৮ বিলিয়নের ঘর ছাড়িয়েছিল।

এদিকে চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স এসেছে ৮৩ কোটি ৬১ লাখ ডলার। দৈনিক গড় প্রবাহ বিবেচনায় প্রবাসী আয়ের এ ধারা আগের মাস এপ্রিলের চেয়ে বেশি।

টাকার বিপরীতে ডলারের দামের ঊর্ধ্বমুখী ধারা এবং চাহিদার তুলনায় সরবরাহ সংকটের মধ্যে সবশেষ আকুর দায় পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে আসার দিনই টাকার মান ২৫ পয়সা কমানো হয়। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ওই সময় রিজার্ভের উপর কিছুটা চাপ তৈরি হওয়ায় এমন পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এরপর আরও একদফা টাকার অবমূল্যায়ন করা হয়। গত ১৬ মে টাকার মান আরও ৮০ পয়সা কমিয়ে প্রতি ডলারের বিপরীতে বিনিময় হার আন্তঃব্যাংকে নির্ধারণ করা হয় ৮৭ টাকা ৫০ পয়সায়।

কোভিড মহামারী পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করলে দেশেও ব্যবসা বাণিজ্য গতি পায়। এতে ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে আমদানি বাড়তে থাকে। একই সঙ্গে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বাড়তে থাকায় আমদানিকারকদের বেশি ডলার গুনতে হয়। এতে করে দেশের ডলারের চাহিদা বাড়তে থাকে। এর প্রভাব দেখা যায় নগদ ডলারে কেনাবেচায়।

ব্যাংকের পাশাপাশি ডলারের সরবরাহ সংকট দেখা দেয় খোলা বাজারেও। গত ১৭ মে খোলাবাজারে ডলারের বিনিময় হার উঠেছিল ১০২ টাকায়। সরবরাহ বাড়ায় পরের দিন অবশ্য কিছুটা কমে ৯৭ টাকায় লেনদেন হয়। ডলার সংকটকে পুঁজি করে কয়েকটি ব্যাংক নগদে ৯৯ টাকা পর্যন্ত হাতবদল করে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকে ঘোষিত হারের চেয়ে সাড়ে ৯টাকা পর্যন্ত বেশি।

এমন প্রেক্ষাপটে রেমিটেন্সে ভর করে আবার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে যায়। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ৬ হাজার ১৫২ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। প্রতি মাসে গড়ে ৬ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে আমদানিতে।

এ হিসাবে বাংলাদেশের বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের বেশি সময়ের আমদানি বিল পরিশোধ করতে পারবে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, কোরবানির ঈদের সময় এগিয়ে আসলে রেমিটেন্সের ধারা আরও বাড়বে; তখন রিজার্ভের ওপরও চাপ কমবে।

রেমিটেন্স সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেকটি প্রতিবেদন বলছে, “অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব থাকা স্বত্বেও প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোর ধারা ইতিবাচক রয়েছে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ১২ মে পর্যন্ত গড় হিসাবে দৈনিক রেমিটেন্স এসেছে ৬৯ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন ডলার। গত এপ্রিলে দৈনিক গড় রেমিটেন্স প্রবাহ ছিল ৬৬ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন ডলার।

এ ধারা আরও বাড়বে বলে ১৯ মে আশা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেছিলেন, “এখন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে কিছুটা… এতে প্রবাসীরা আগের চেয়ে বেশি অর্থ পাবেন। আর প্রণোদনা দেওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলেই বেশি রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন।

“ব্যাংকে রেমিটেন্স পাঠানোয় সরকার সুবিধা দেওয়ায় তারা বেশি টাকা পাচ্ছেন আগের চেয়ে। সামনে কোরবানির ঈদ… সব মিলিয়ে আমরা আশা করছি এ উপলক্ষে রেমিটেন্সের ধারা আরও বেগবান হবে।”

51
Spread the love


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর