আশরাফুল হক, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীসহ চারজন জন সাবেক সংসদ সদস্য ও আ'লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ২শত/তিনশত নেতা কর্মীর নামে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেয়া নিহত মিরাজুল ইসলামের বাবা আব্দুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় আসামি হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে লালমনিরহাট জেলা আ'লীগের সভাপতি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা খাতুন। এছাড়া মোফাজ্জল হোসেন মোফা, হাবিবুর রহমান হাবিব, গোলাম ফারুক বসুনিয়া, অ্যাডভোকেট সরিফুল ইসলাম রাজু, অ্যাডভোকেট রকিবুল ইসলাম খান রুকু, কাজি নজরুল ইসলাম তপন, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর এপিএস আমিনুল খান, হোসেন সুমন খান, তহমিদুল ইসলাম বিপ্লব, আব্দুস সোহরাব হোসেন, মো. মনসুর আলী, সিরাজুল ইসলাম খন্দকার রানা, সুমন সওদাগর, সবুজ মিয়া, সরওয়ার আলম, সুমন সওয়াদাগর, আতিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, সাজু মিয়া, রুবেল মিয়া, মো. লাকু, পিন্টু মিয়া, শেফাউল, সজীব, গোলাম মোস্তাফা স্বপন, আহসান হাবীব লাভলু, মিলন হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক সুমন, রফিকুল আলম, সাজেদা রহমান সাজু, সালেকুজ্জামান চয়ন, শাওনসহ অজ্ঞাত আরো ২শত/৩শত জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের পুরো দেশব্যাপী চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে লালমনিরহাটের আদিতমারী মহিষখোচা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মিরাজুল ইসলাম অংশগ্রহণ করে। পরে লালমনিরহাটের চার সংসদ সদস্যসহ বাকি আসামিরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে আক্রমণ চালায়। এতে মিরাজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে ডেল্টা মেডিকেলে ভর্তি করান। চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন না হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলামের মিরাজুল ইসলামের বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে লালমনিরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সম্পাদক ও লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা খাতুনসহ ৩৭ জনকে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২শত/৩শত জনের বিরুদ্ধে রোববার রাতে ঢাকার যাত্রবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
যাত্রবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন স্থানীয় সংসদ সদস্য রয়েছেন।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।