লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে লাঞ্চিতের অভিযোগ উঠেছে সংরক্ষিত নারী সদস্য নুরবানু বেগমের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার(৮ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার পলাশী ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। লাঞ্চিতকারী ইউপি সদস্য নুরবানু বেগম ওই পরিষদের ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য এবং ওই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবু সায়েমের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অফিসিয়াল একটি চিঠি লালমনিরহাট জেলা অফিসের ম্যাচেঞ্জারে পাঠাতে সংরক্ষিত নারী সদস্য নুরবানু বেগমের মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন ইউপি সচিব সারাফাত। তবে চিঠিটি মেচেঞ্জারে পাঠানোর সময় ভুলক্রমে নুরবানু বেগমের ব্যবহৃত ফেসবুকের স্টোরী গ্রুপেও পাঠানো হয়। পরবর্তিতে নুরবানু বেগমের ফেসবুকের স্টোরী গ্যালারীতে ওই চিঠি দেখে সাধারন সদস্য ও ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মাঝে সমালোচনা শুরু হয়।

তবে এটি রিমুভ না করে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার ফেসবুকে এ চিঠি দেয়ার কারন জানতে চেয়ে উত্তেজিত হন সদস্য নুরবানু। এ সময় এটি নিয়ে তাদের মাঝে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়। একপর্যয়ে সচিব সারাফাত তার নিজের কক্ষে গিয়ে অফিসিয়াল কাজে ব্যস্থ হলে সদস্য নুরবানু বেগম উত্তেজিত হয়ে কক্ষের দরজা বন্ধ করে সচিব সারাফাতকে লাঞ্চিত করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে পরিষদ চত্ত্বরে উভয় পক্ষের মাঝে আবারও বিতর্ক বাঁধলে ইউপি চেয়ারম্যান তাদেরকে ডেকে আপোষ করেন।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক পরিষদের একজন সদস্য দাবি করেন, নারী সদস্য নুরবানু একটু রাগি মানুষ। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপি সচিবকে রুমের দরজা বন্ধ করে থাপ্পর দিয়েছেন। বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে আপোষ করা হয়েছে। তবে অফিসে কাউকে এভাবে লাঞ্চিত করা ঠিক হয়নি।

পলাশী ইউপি সচিব সারাফাত বলেন, আমার নিজের মোবাইল নষ্ট থাকায় তার মোবাইলে চিঠির ছবি পাঠানোকে কেন্দ্র করে এ ঝামেলা হয়েছে। চাকুরী করি বিধায় বিষয়টি বাড়াতে চাই না। পরিষদের সকলেই বসে তাৎক্ষনিক আপোষ করে দিয়েছেন। তবে খুব দ্রুত বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে যাব।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নুরবানু বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোন ঘটনাই ঘটেনি।

পলাশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলা উল ইসলাম ফাতেমী পাভেল বলেন, সচিব বাহিরে থেকে এসে চাকুরী করছেন। আর সদস্যরা তো স্থানীয়। তাই একটু হট্টগোল হয়েছে। যা তাৎক্ষনিক ভাবে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে আপোষ করা হয়েছে।