চারদিকে প্রতারণার ভয়ঙ্কর ফাঁদ পেতেছে প্রতারক চক্রে’র একটি সিন্ডিকেট। নানা অজুহাতে লোকজনের কাছ থেকে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সেই চক্রটি শহর থেকে গ্রামগঞ্জে বিস্তৃত তাদের জাল। মানুষ ঠকানোই তাদের পেশা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে কাজ না করে ঘরে বসে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর লালমনিরহাটের একটি সিন্ডিকেট চক্র। আর এই স্বপ্নের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে বৃটিশ আমলীয় ‘ম্যাগনেটিক পিলার’। এ সিন্ডিকেট সদস্য হল, নারী-পুরুষের পাশাপাশি স্বর্ণ ব্যবসায়ী, ভুমি ও ব্যাংক কর্মকর্তা, সাধারণ ব্যবসায়ী, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। তারা দীর্ঘ ১৫/২০ বছর ধরে স্বপ্নের ম্যাগনেটিক পিলার খোঁজতে খোঁজতে একেবারে নিঃশ্ব হয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেটের সাথে স্বর্ণ ব্যবসায়ী, ভুমি ও ব্যাংক কর্মকর্তা, সাধারণ ব্যবসায়ী, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের যোগাযোগ রয়েছে। অথচ আজও তারা সোনার হরিণ পাওয়ার নামে সিন্ডিকেটের দেখানো সেই অন্ধকার পথেই হেটে চলছে। অনুসন্ধান চালিয়ে জানা গেছে, বৃটিশ আমলে ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার’ স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক পিলার’ বলে আখ্যায়িত করছেন। একটি ‘ম্যাগনেটিক পিলার’ মানে কাজ না করে ঘরে বসে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নভোর মুল্যবান সম্পদ। আবার কেউ কেউ বলছেন, এর মাধ্যমে বৃটিশরা আসলে এদেশের সব গোপন তথ্য চুরি করে নিয়ে যায়। (বৃটিশদের বাংলাদেশের মাটির নিচে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের আসল রহস্য কি!) তবে আসল ঘটনা হচ্ছে- এদেশে বৃটিশদের শাসনের (বর্তমান বাংলাদেশের) সময়কালে সীমানা পিলার গুলো ফ্রিকুয়েন্সি অনুযায়ী একটি থেকে আরেকটির দুরত্ব মেপে মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিলো। যেগুলোর মধ্যে পিতল, তামা, লোহা, টাইটেনিয়াম সহ ধাতব চুম্বক সমন্বয়ে গঠিত হওয়ার কারনে বজ্রপাত হবার সময়ে ইলেকট্রিক চার্য তৈরী হয় এবং সেটি সরাসরি এই পিলার গুলো শোষন করে আর্থিং এর কাজ করতো। এতে করে বজ্রপাত হতো কিন্তু মানুষ মারা যেতোনা। ওইসব বিষয়কে পুজি করে এটিকে ভিন্নভাবে কিছু অসাধু লোক এই পিলার গুলো অনেক দামে বিক্রি করা যায় এ রকম গুজব ছড়ায়। এ কারনে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পিলারগুলো রাতারাতি নিশ্চিন্ন করে নিয়ে যাচ্ছেন। কিছু লোক এগুলোকে মহা-মুল্যবান বলে অপপ্রচার করে খুঁজে বের করে চুরি করছেন।
লালমনিরহাটে এ সিন্ডিকেট সদস্যরা অনেক কিছু
হারিয়েছে। সিন্ডিকেট চক্রগুলোর কাছে ‘ম্যাগনেটিক পিলার’ যেন সোনার হরিণের চেয়ে দামী। অথচ আজও তারা সোনার হরিণ পাওয়ার নামে সিন্ডিকেটের লোকগুলো সেই অন্ধকার পথেই হেটে চলছে। ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বাশ হচ্ছে শত শত মানুষ। একটি বিশ্বস্থ্য সূত্র জানান, কেউই সীমানা পিলার বিক্রি করে বহু টাকা উপার্জন করার উদাহরণ দেখাতে পারেনি। সীমান্ত পিলার গুলোর মধ্যে থাকা তামা, পিতল, টাইটেনিয়াম জাতীয় ধাতবের সমন্বয়ে তৈরী বলে এগুলো বিদ্যুৎ সু-পরিবাহি হওয়াতে একে মহা মুল্যবান বলে অপপ্রচারের ফলে এসব পিলার চুরি হতে থাকে। এ পিলারের রেডিও ইলেট্রনিক্স তরঙ্গের সাহায্যে ভূমি জরিপ ও ম্যাপ প্রস্তুত করতে এবং এটি বিমান চলাচলেও সহযোগিতা করত সে সময়। এখন যেমন মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর সময় একটা থেকে আরেকটার দুরত্ব আর ফ্রিকুয়েন্সি মেপে ম্যাপ করে বসানো হয়। ঠিক তেমনি ভাবে বৃটিশরা ম্যাপ করে বসিয়েছিলেন পিলা’র গুলো।
আগের কার আমলে বজ্রপাতে নিহত হবার সংখ্যা ছিল অনেক কম। যেটি এখন এতটা বেড়ে গেছে যে, মানুষ রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গেছে। এখন নিশ্চিই সবাই বুঝতে পারছেন কেন বৃটিশ আমলে পিলা’র গুলো মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিলো। সচেতন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাতে মৃত্যু রোধকল্পে সরকারকে বৃটিশদের মতো করে পিলা’র স্থাপনের উদ্দ্যোগ আবার গ্রহণ করা উচিত।
ম্যাগনেটিক পিলারের কারণে বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা কমে যাবে। কারণ দেশের একটি সিন্ডিকেট চক্র ইতিমধ্যে মাটির নিচ থেকে অনেক স্থানের ম্যাগনেটিক পিলার চুরি করে নিয়ে গেছেন। বজ্রপাতে মৃত্যু রোধকল্পের ম্যাগনেটিক পিলার দিয়ে চক্রটি রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।